শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:২৩

সাধ মেটা, না-মেটার গল্প

dynamic-sidebar

হাসিনা :অ্যা ডটারস টেল- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যার সাদামাটা জীবনের গল্প, নাকি দুঃখগাথা, অথবা পুনরুত্থানের প্রস্তুতির কথা? টানা ১০ বছর তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এর আগেও নব্বইয়ের দশকের শেষ পাঁচ বছর তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা ছিলেন তিন দফায়। সব মিলিয়ে ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী এবং ১২ বছরের বেশি সংসদে বিরোধী দলের নেতা। তার জীবন নিয়ে কোনো তথ্য বা প্রামাণ্যচিত্র কিংবা ডকুড্রামা ধরনের কিছু উপস্থাপন করতে চাইলে রাষ্ট্র-সরকারের দায়িত্বে থাকার সময়ে কী করেছেন, কীভাবে করেছেন- সেটা তুলে ধরা অনেকটাই সহজ। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এ-সংক্রান্ত ফুটেজেরও অভাব নেই।

বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আমলে আতাউর রহমানের মন্ত্রিসভায় নয় মাসের জন্য মন্ত্রী ছিলেন। তখন শেখ হাসিনার বয়স নয় বছর। সে সময়ের টেলিভিশন ফুটেজ তেমন থাকার কথা নয়। কিন্তু একজন উদীয়মান রাজনৈতিক নেতা, যিনি পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়েছেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রাদেশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক- মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তার শিশু পুত্র-কন্যাদের শৈশবের স্মৃতি কেউ না কেউ ধরে রাখতেই পারেন।

টানা প্রায় চার দশক তিনি জনসমাবেশে বক্তব্য রাখছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কিংবা বিভিন্ন রাষ্ট্রে সফরকালে ভাষণ দিচ্ছেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি কিংবা দলীয় অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন- কতই না ফুটেজ মিলবে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রতি কত ক্যামেরার লেন্সই না সদা তাক করা! পাকিস্তানের দুঃশাসন বিদায় করে দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ‘অপরাধে’ শেখ মুজিবকে যারা ক্ষমা করেনি এবং করবেও না, তাদেরও তো নজর শেখ হাসিনার ওপর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা তাকে বুলেটের নিশানায় আনতে পারেনি। আর এ কারণেই তো বিচার করতে পেরেছেন ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালের নৃশংসতার। তিনি যে বলেন, সর্বদা তাকে গ্রেনেড-বুলেটের নিশানায় আনার চেষ্টা চলছে, তার কারণ বুঝতে আমাদের অসুবিধে হয় না।

আমাদের এ ভূখণ্ডের দুর্ভাগ্য, ইতিহাসের অনেক মূল্যবান উপাদান-উপকরণ আমরা হারিয়ে যেতে দিয়েছি। এমনকি পারিবারিক পর্যায়ে সংরক্ষণ করা দলিল-দস্তাবেজও নষ্ট করার অনেক ঘটনা রয়েছে। শুক্রবার ‘হাসিনা :অ্যা ডটারস টেল’ ডকুড্রামার বিশেষ প্রদর্শনী শেষে পরিচালক পিপলু খান এ কষ্টের কথাই বলছিলেন। তিনি ইতিহাস সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আপনি রাজনীতির অঙ্গনের কিংবা অন্য কোনোভাবে বিশিষ্ট হয়ে ওঠা অথবা সাধারণ জীবনযাপন করা কাউকে পছন্দ করতে পারেন, নাও করতে পারেন। কিন্তু ইতিহাস হারিয়ে যেতে দেবেন না।

‘হাসিনা :অ্যা ডটারস টেল’-এ এই হারিয়ে যাওয়া সময়কে তুলে ধরার আন্তরিক প্রয়াস আমরা দেখতে পাই। তবে সেটা করতে হয়েছে প্রধানত শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার জবানে। তারা স্টোরি টেলার হয়েছেন। জীবনের গল্প বলেছেন। তবে তাদের জীবনের যে অধ্যায়ের কথা আমরা জেনেছি, তা দুঃখের, সীমাহীন যন্ত্রণা ও কষ্টের। শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে বাংলাদেশেরই কোনো মানুষ হত্যা করতে পারে, সেটা ছিল অভাবনীয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল এমন সব ব্যক্তি, যারা নিত্যদিন ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করার সুযোগ পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, ঘাতকদের যেন কোনো দিন বিচার করা না যায়, তার আইনি ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। ১৯৭৬ সালের ৫ আগস্ট দৈনিক ইত্তেফাক এ খবর প্রকাশ করেছিল- ‘প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক গতকাল রাজনৈতিক দলবিধি (সংশোধনী) ১৯৭৬ জারি করিয়াছেন। এতে বলা হয়, জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তিকে কেন্দ্র করিয়া কোনো প্রকার ব্যক্তি পূজার উদ্রেক বা ব্যক্তিত্বের মাহাত্ম্য প্রচার অথবা বিকাশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকিবে।’

স্পষ্টতই এ সামরিক বিধির উদ্দেশ্য ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার যেন কেউ দাবি না করে, কেউ যেন স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অনন্য অবদানের কথা না বলে- সে পথ বন্ধ করে দেওয়া। এটাও মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সামাজিক-পেশাজীবীদের অঙ্গনে এমন অনেকে রয়েছেন, বিশিষ্টজন হিসেবে যাদের পরিচিতি-স্বীকৃতি এবং নিজেদের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন কায়েমে মরণপণ সংগ্রামের ধারক-বাহক হিসেবে তুলে ধরতে চান- তারা কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে কখনো সোচ্চার হননি। তারা বিষয়টিকে ‘জাতির পিতা হত্যা নয়’, বরং ‘শেখ হাসিনার পিতার হত্যার’ বিচার চাওয়ার সংকীর্ণ গণ্ডিতে ঠেলে দিতে চেয়েছেন।

শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে যে দীর্ঘ ও যন্ত্রণাদায়ক পথ পাড়ি দিয়েছেন, তার বিস্তারিত উল্লেখ নেই এ ডকুড্রামায়। নিজেদের মধ্যে দু’চারটি কথা- বিচারের জন্য দ্রুত কিছু করতে উদ্‌গ্রীব শেখ রেহানাকে ধৈর্য ধরতে বলছেন অগ্রজা। দলের অগণিত কর্মী-সমর্থক এ দাবিতে সোচ্চার, কিন্তু তিনি জানেন যে নেতাদের মধ্যে বিভেদ আছে। একদল তো খুনি মোশতাকের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আরেকদল চলে গেছে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন এবং ঠিক বঙ্গবন্ধুর মতোই বাংলাদেশের সর্বত্র কর্মী-সমর্থকদের সংগঠিত করায় ব্রতী হন। শেখ রেহানা এ সময়ের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, আপার দুই সন্তান জয় ও পুতুলকে আমি আপার মত গ্রাহ্য না করেই হোস্টেলে পাঠিয়ে দিই। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কারণে আমি পড়াশোনা শেষ করতে পারিনি। কিন্তু আপার দুই সন্তানের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করতে দিতে পারি না। তিনি দলের কাজে এত বেশি সময় দিতেন এবং এ কারণে সন্তানদের সময় দিতে পারতেন না। সন্তানদের এক রকম জোর করেই তার কাছ থেকে সরিয়ে দিই। সে সময়ের আপার চোখের পানি এখনও চোখের সামনে ভাসে।

ভারতে নির্বাসিত জীবনের সময়ের কথা বলেছেন দু’বোন। শেখ হাসিনা দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে প্রথম দেখা করতে গেছেন, অথচ তাড়াহুড়ায় কিছু খাওয়া হয়নি। মাতৃস্নেহের পরশ মিলেছে ভারতের এই মহান নেতার কাছ থেকে, যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বর্বর সেনাবাহিনীর হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রায় এক কোটি বাঙালিকে অভয় দিয়েছিলেন। মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা এবং তাদের অস্ত্রসজ্জিত করে তোলার কাজটি তাকে করতে হতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো বৃহৎ শক্তির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে। আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে এ বিষয়টি প্রকাশ্যে বলতেও পারেননি। সেই মহীয়সী নারী সদ্য পিতৃহারা শেখ হাসিনার মুখের দিকে চেয়েই বুঝতে পারেন- মেয়েটির কিছু খাওয়া হয়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেই খাওয়ার ব্যবস্থা করলেন।

সে সময়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ভারতে থেকেছেন নাম-পরিচয় গোপন করে। সময় আর তাদের কাটে না। ঘরের জানালা দিয়ে বাইরের জগৎ দেখেন; বিস্মিত হন মোটরসাইকেলে এক পরিবারের পাঁচ-ছয়জন সদস্যের ছুটে চলার দৃশ্য দেখে। বাংলাদেশে ডাল বলতে মসুর-খেসারি-ছোলা। কিন্তু ভারতে কত রকমের ডাল, সেটা গণনা করাও কঠিন। সেটাও করেন। বাংলায় প্রবাদ আছে, নাই কাজ তো ধানে-চালে মিশিয়ে বাছ। বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের জীবনে এমন সময় তো আসার কথা ছিল না। কিন্তু নিষ্ঠুর সামরিক শাসনে পিষ্ট বাংলাদেশে যাদের ফিরে আসার পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তাদের জন্য কেবল একটু আশ্রয়ই তো অনেক পাওনা!

শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। তাকে ধানমণ্ডির পৈতৃক বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি, এমনকি নিহত পিতা-মাতা ও স্বজনদের জন্য মিলাদ পড়তে দেওয়া হয়নি। অথচ এ পরিবারের জীবন ছিল অতি সাধারণ। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ৩২ নম্বরের বাড়িটিকে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে পরিণত করেছেন। ১৫ আগস্টের পর সে বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু এবং তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা ও অন্য সদস্যদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র খোয়া গেছে। অথচ জাদুঘরের জন্য শুধু নয়, যে কাউকে ভালোভাবে জানার জন্য এসব যে অনন্য সম্পদ। আমার নিজের একটি অভিজ্ঞতা বলি। একবার বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনের সময় বস্তিবাসী একটি পরিবারকে সেখানে দেখতে পাই। প্রদর্শনীর জন্য রাখা শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকির বিয়ের শাড়ি দেখিয়ে ওই দর্শকদের মধ্যে দু’জন নারী একে অপরকে বলছিলেন, ‘দেখ, দেখ আমাগো গরিবদের মতো বিয়ার শাড়ি।’

এই না হলে জাতির পিতা!

পিপলু খান কিছুটা খেদের সঙ্গেই বলছিলেন, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শকদের মধ্যে এই গরিব নারী-পুরুষদেরই বেশি দেখা যায়। মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তদের খুব একটা দেখা যায় না। আওয়ামী লীগের হয়ে যারা মন্ত্রী-এমপি-মেয়র-উপজেলা চেয়ারম্যান হতে চান, দল ক্ষমতায় থাকলে যারা গুরুত্বপূর্ণ পদ চান, যারা হোন্ডা-গুণ্ডা দিয়ে সব ঠাণ্ডা করে নিজের কর্তৃত্ব কায়েম রাখতে চান, তারা কি পিপলু খানের কথা শুনতে পাচ্ছেন?

ডটারস টেল-এ জনপরিসরের শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাকেই তুলে ধরার প্রয়াস ছিল। ছবির সম্পাদনা করেছেন নবনীতা সেন। তিনি বলেছেন, অন্তত ১০টি ডকুড্রামার ফুটেজ থেকে ৭০ মিনিটের ছবি বানাতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চায়ের মধ্যে মুড়ি ফেলে খেতে পছন্দ করেন, এ অংশটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না। আমরা আশায় থাকব, যেসব ফুটেজ সিআরআই ও অ্যাপলবক্স ফিল্মসের হাতে রয়েছে, তারা ভবিষ্যতে এসবের ব্যবহার করবেন।

ডটারস টেলের কন্যারা জাতির জনকের কন্যা। বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন কতটা প্রাধান্য পাবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের কোন ঘটনা রাখা হবে, কোনটা বাদ দেওয়া হবে- এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ নয়। তাদের মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কথাই তা কতটা থাকবে, সেটাও বড় প্রশ্ন ছিল। বঙ্গবন্ধুর জীবনে এ নারীর ভূমিকা সাম্প্রতিক সময়ে সামনে আসছে। চলচ্চিত্রে শেখ রেহানা অকপটে বলেছেন, ‘…যদি মা বেঁচে থাকত!’ তার কাছে জানতে চাইতেন, এখন কী করণীয়।

চলচ্চিত্রের এক পর্যায়ে বই পড়া ও গান শুনে সময় কাটাতে পছন্দ করা কিশোরী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে শেখ রেহানা বলেছেন, মা থাকলে বলতাম কিংবা বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত মায়ের কবরে গিয়ে বলতে ইচ্ছে করে- দেখ তোমার আলসে মেয়েটি এখন কত কিছু করছে। ডটারস টেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে বাংলাদেশকে নতুন মর্যাদায় আসীন করার চেষ্টা করছেন, কীভাবে মাদারস অব হিউম্যানিটির মর্যাদা পাচ্ছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের শুরুতেই দুর্নীতির কল্পিত অভিযোগ তুলে যেভাবে তাকে ও তার পরিবারের সদস্য ও রাজনৈতিক-প্রশাসনিক সহকর্মীদের হেনস্তার অপচেষ্টা হয়েছে, সেসব কিছুই বলা হয়নি। আমার কাছে মনে হয়েছে, এ শেখ হাসিনাকে দেশবাসী ও বিশ্ববাসী অনেকটাই জানার সুযোগ পায়। কিন্তু যেটা কম জানে কিংবা আদৌ জানে না, সেটাই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাটা হয়েছে।

পান্না লাল ভট্টাচার্যের ‘আমার সাধ না মিটিল আশা না পুরিল সকলি ফুরায়ে যায় মা.. ‘ গানটি বারবার ব্যবহার করা হয়েছে এ ছবিতে। ডটারস টেলে আমাদের অনেক সাধ মিটেছে, আবার অনেক অপূর্ণ থেকেছে। এ অপূর্ণতাই কিন্তু প্রেরণা।

আমাদের নির্মাতা-লেখকরা আরও অনেক ব্যক্তির ‘সাদামাটা’ জীবনকে ধরে রাখায় উদ্যোগী হবেন- এ প্রত্যাশা কিন্তু তৈরি করে দিল সিআরআই, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, নসরুল হামিদ বিপু, পিপলু খান এবং সংশ্নিষ্ট অন্যরা।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net