শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৩৫

বরিশালের চরকাউয়া খেয়াঘাটে শুধুই দুর্ভোগ!

dynamic-sidebar

* যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা * রাতে আলো স্বল্পতা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের ব্যস্ততম এলাকাগুলোর অন্যতম নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাট। নগরীর কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া কীর্তনখোলা নদীর এ স্থানটিতে দাঁড়ালে দেখা যাবে যাত্রীবোঝাই ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নদী পাড়ি দিচ্ছে। এক দল আসছে নগরীর দিকে, অন্য দল নগরী ছেড়ে যাচ্ছে পূর্ব পাড় সদর উপজেলার চরকাউয়ায়। খেয়ার মাঝিমাল্লাদের তথ্যমতে, প্রতিদিন কমপক্ষে অর্ধলাখ মানুষ কীর্তনখোলা পাড়ি দিয়ে নগরীতে আসা-যাওয়া করে। অথচ নাগরিক সুবিধার বিন্দুমাত্র ছোঁয়া নেই এ খেয়াঘাটে। নগরীর প্রান্তে নাব্য সংকট এবং অপর প্রান্তে নদীভাঙনে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় এখান দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। এ দুর্ভোগ আরও বেড়েছে দুই প্রান্তে ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করায়।

ক্রমশয়ই অধিক ঝূকিপূর্ণ হয়ে উঠছে শত বছরের পুরনো চরকাউয়া খেয়াঘাটটি। দীর্ঘদিন যাবত এই ঘাটটির বেহাল দশা। ধসে পরেছে ঘাটের অর্ধেকটা। তাই প্রশ্ন ওঠে আর কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হলে সংস্কার করা হবে চরকাউয়া খেয়াঘাটটি। দিনের বেলায়ই যেখানে পারাপারে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ, সেখানে রাতের বেলায় যে আরও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেটা নি:সন্দেহেই বলা যায়।দেখা গেছে ধসে পরা ঘাটের রডগুলো বেড়িয়ে আছে বিপদজনকভাবে। এই রডের ফাঁকে পা পড়লে যে কোনো সময় পাণহানিও হতে পারে। এসব সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোনো উদ্যোগ। এছাড়াও রাতের বেলায় ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। একাধিক ট্রলার চালদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পারাপার হওয়ার সময় প্রায়ই ক্ষুব্ধ হন যাত্রীরা।ট্রলারে উঠতে-নামতে যারা বেশি ভোগান্তিতে পড়েন তাদের অধিকাশংই নারী কিংবা শিশু। ঘাটটি যাতে দ্রুত সংস্কার করা হয় এমনটি দাবি ট্রলার চালদেরও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে বরগুনা ও বরিশালগামী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো যথাক্রমে রাত ২টা থেকেই বরিশাল নৌ-বন্দরে আসে। বরিশালের পূর্বাঞ্চলের তথা ভোলা, লাহারহাট, নেহালগঞ্জসহ চরকাউয়া ইউনিয়নের লোকজনের যাতায়াত এই খেয়াঘাট থেকেই। শীতকালীন নাব্য সংকটে পানি কম থাকায় ঘাটের খেয়াগুলো ভিড়তে হচ্ছে নীচের দিকে। একারণে ট্রলারে উঠা-নামা খুবই কষ্টসাধ্য।ঢাকা থেকে আসা সাব্বির নামের এক যাত্রী জানান, আমি স্টুডেন্ট মানুষ, প্রায়ই চাকরী সংক্রান্ত বিষয়ে ঢাকায় যাতায়াত করি। আমার বাড়ি টুঙ্গিবাড়িয়া। এই ঘাটে প্রায়শই ভোগান্তিতে পরি, কখন যে পা ফসকে রডের মধ্যে পড়ে যাই বলতে পারিনা, এটা নতুন করে নির্মাণ করা উচিৎ।

ভোলার উদ্দেশ্যে খেয়া পারাপার হওয়া এক নারীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার সাথে একটি বাচ্চা আছে, আমি মহিলা মানুষ, ট্রলারে ওঠার সময় কোনরকম যদি এই ফাকে পা পড়ে তাহলে কি অবস্থা হবে বুঝেন।এ বিষয়ে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান জানান, এটাতো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তারপরেও আমরা দেখি কি করা যায়।কথা হয় বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আহসান হাবিবের সাথে, তিনি জানান, এটা আমরা ইজারা দেইনা। তারপরেও যেহেতু ব্যাপরটা জনদুর্ভোগের সেক্ষেত্রে আমরা সবাই মিলে দেখি কিছু করতে পারি কি না।বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো: ফারুক বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net