নিজস্ব প্রতিবেদক ॥হত্যা করে ড্রামে ভরে নারীর মরদেহ অন্যত্র সরানোর ঘটনায় মো. আ. খালেক হাওলাদার (৫৫) নামে প্রধান অভিযুক্তকে এক মাস চার দিন পর গ্রেফতার করেছে পিবিআই।গ্রেফতার খালেক হাওলাদার বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলারার পশ্চিম বিবিরপাড় এলাকার মৃত গোলাম আলী হাওলাদারের ছেলে ও বরিশাল নগরের কাশিপুর ভুইয়া মসজিদ সংলগ্ন নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের কেয়ারটেকার।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বরিশাল নগরের রুপাতলী পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির।তিনি জানান, গত ২০ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে বরিশাল জেলার গৌরনদী থানাধীন ভূরঘাটা নামে স্থানে বাসের ভিতর ড্রামে একজন অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ পাওয়া যায়।পিবিআই ক্রাইমসিন টিম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্রাইমসিন সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রাথমিক পর্যায়ে এটি একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড। পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা মৃতের পরিচয় নির্ণয়, হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করে। পিবিআই বরিশাল জেলার একটি টিমকে ছায়া তদন্তে নিয়োজিত করা হয়।
একই দিন পিবিআই বরিশাল জেলা ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। নিহত নারী গৌরনদী উপজেলার সদরের বাসিন্দা ও কাতারপ্রবাসী মো. সহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা বেগম।পিবিআই বরিশাল জেলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ দশ সদস্যের একটি টিম আসামি গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন রাত ৩টার দিকে হত্যায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি মো. আ. খালেক হাওলাদারকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিমানবন্দর থানাধীন হিজলতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, হত্যার ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যেই পিবিআই হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে প্রযুক্তি ও ম্যানুয়াল পদ্ধতির সাহায্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।খালেকের বরাত দিয়ে এসপি জানান, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় পাওনা ৫-৬ লাখ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে খালেক হাওলাদার পরিকল্পিতভাবে ছাবিনাকে হত্যা করেন। খালেক মরদেহ রাখার জন্য ব্যবহার করা ড্রাম ও হত্যায় ব্যবহৃত রড শনাক্ত করেছেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।এর আগে খালেকের স্ত্রী রহিমাকে ২২ নভেম্বর গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply