ক্রীড়া ডেস্কঃ দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন নাঈম শেখ। ৬৪ বলে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে করলেন ১০৫ রান। তবুও হারল তার দল বেক্সিমকো ঢাকা। ২ রানে ম্যাচটি জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ অবস্থানে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করল ফরচুন বরিশাল। আর লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নিল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। প্লে-অফ নিশ্চিত করা অন্য তিনটি দল হলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম, জেমকন খুলনা ও ঢাকা।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শনিবার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বরিশালের দেয়া ১৯৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯১ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। নাঈম শেখ ছাড়াও ভালো ব্যাট করেছেন ইয়াসির আলী। ২৮ বলে ৪১ রান করে আউট হন তিনি। বরিশালের বোলারদের মধ্যে ১৩ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন সোহরাওয়ার্দী শুভ।
ঢাকা শুরুটা ভালো করলেও মাঝে পরপর তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। ওপেনিংয়ে নেমে ১১ বলে ১৯ করে ফেরেন সাব্বির রহমান। ওয়ানডাউনে নেমে ৭ বলে ৫ করেন অধিনায়ক মুশফিক। আল-আমিন ফিরে যান ২ বলে শূন্য রান করে।
এরপর দলকে টেনে তোলেন নাঈম ও ইয়াসির। দুজনে ১১০ রানের জুটি গড়েন। ১৯তম ওভারে দলীয় ১৭২ রানে ফেরেন নাঈম। পারভেজ হোসেন ইমন ক্যাচ মিস করায় ব্যক্তিগত ৪৯ রানে জীবন পেয়েছিলেন নাঈম। জীবন পেয়ে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন তিনি।
৪৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করা নাঈম ৬০ বলে পূরণ করেন ব্যক্তিগত শতরান। অর্থাৎ, পরবর্তী ৫০ তিনি করেন মাত্র ১৭ বলে। এই টুর্নামেন্টে নাঈমের সেঞ্চুরিটি তৃতীয়। এর আগে সেঞ্চুরি করেন রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও বরিশালের ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন।
নাঈম আউট হওয়ার ওভারেই ইয়াসির আলী রান আউট হয়ে যান। যার কারণে বিপাকে পড়ে যায় ঢাকা। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরাও আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। মুক্তার আলী ২ বলে ৬ রান করেন। ৬ বলে ৯ করে অপরাজিত থাকেন আকবর আলী।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। দলের ওপেনার সাইফ হাসান ৪৩ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৫০ রান করেন। ২২ বলে ২টি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন তৌহিদ হৃদয়। ২৫ বলে ১টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। ঢাকার বোলারদের মধ্যে রুবেল হোসেন ১টি, আল-আমিন ১টি ও মুক্তার আলী ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
বরিশাল ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করে। ওপেনিংয়ে ৫৯ রানের পার্টনারশিপ করেন সাইফ-তামিম। অষ্টম ওভারে ওয়াইড লং অফে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ হন তামিম। ১৭ বলে ১৯ রান করেন তিনি। পারভেজ হোসেন ইমন ওয়ানডাউনে নেমে ১৩ বলে ১৩ করে বিদায় নেন।
ব্যক্তিগত অর্ধশত করার পর দলীয় ১০২ রানে রুবেলের শিকার হন সাইফ। উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন তিনি। পরে ৯১ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ২ রানে জয়ী ফরচুন বরিশাল।
ফরচুন বরিশাল: ১৯৩/৩ (২০ ওভার)
(সাইফ হাসান ৫০, তামিম ১৯, পারভেজ ১৩, আফিফ ৫০*, হৃদয় ৫১*; রুবেল ১/২৮, রবি ০/৪০, নাসুম ০/১৪, শফিকুল ০/৫১, আল-আমিন ১/৫, মুক্তার ১/৪৮)।
বেক্সিমকো ঢাকা: ১৯১/৬ (২০ ওভার)
(নাঈম শেখ ১০৫, সাব্বির ১৯, মুশফিক ৫, আল-আমিন ০, ইয়াসির ৪১, আকবর ৯*, মুক্তার ৬, রবি ০*; তাসকিন ০/৪৮, মিরাজ ০/৩৩, সুমন খান ১/৪৪, সোহরাওয়ার্দী ৩/১৩, আফিফ ০/১২, কামরুল ১/৪১)।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: নাঈম শেখ (বেক্সিমকো ঢাকা)।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply