ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলায় বাল্যবিয়ের বৈধতার কথা বলে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে ২ কথিত সাংবাদিককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাতে জাতীয় জরুরী সেবা নাম্বার ৯৯৯ এ ভূক্তভোগিরা ফোন দিলে পুলিশ তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।
চাঁদাবাজীর অভিযুক্ত ওই সাংবাদিকরা হচ্ছেন অর্জুন চন্দ্র দে (৪০) ও তার সহকারী ক্যামেরাম্যান রাসেল (২৫)।
পুলিশ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগিরা জানান, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের স্লুইজগেইট এলাকায় সোমবার দুপুরে শানু সর্দারের মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলে। এসময় স্থানীয় অনলাইন পত্রিকার কথা বলে ভুয়া ২ সাংবাদিক সুমন ও পারভেজ ওই বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে হচ্ছে বলে ৫ হাজার টাকা দাবী করেন। এ সময় স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় এক হাজার পাঁচশত টাকা তাদের দিলে তারা চলে যায়।
এ ঘটনার কিছু সময় পর কথিত সাংবাদিক অর্জুন চন্দ্র দে ও তার ক্যামেরাম্যান রাসেল গিয়ে বাল্যবিয়ের কথা বলে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা না দিলে তারা পুলিশকে জানিয়ে দিবে বলেও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। তখন মেয়ে পক্ষ জানায় তাদের মেয়ের বাল্যবিয়ে হচ্ছে না। তার পরও অর্জুন ও রাসেল ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবী করতে থাকে। তখন স্থানীয় মেম্বার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। তাদেরকে সাংবাদিক হিসাবে কেউ চিনতে না পারায় সন্দেহ হলে তাদের আটকে রেখে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দেয়। পরে পুলিশ রাত ৯টার দিকে কথিত ২ সাংবাদিক অর্জুন চন্দ্র দে ও রাসেলকে আটক করে ভোলা মডেল থানায় নিয়ে আসেন।
ভোলা থানার এসআই শেখ ফরিদ জানান, আটককৃতরা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন। তবে তাদের কাছ থেকে কোন পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। তাদের কাছ থেকে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে।
ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, বাল্যবিয়ে বন্ধের নামে কথিত সাংবাদিক অর্জুন চন্দ্র দে ও রাসেল বেদে পরিবারের কাছে চাঁদা দাবী করে। অর্জুন ও রাসেলকে আটকে রেখে তারা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এব্যাপারে ভূক্তভোগিদের পক্ষ থেকে একটি চাঁদাবাজী মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, অর্জুন চন্দ্র দে বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে নিজে ভোলা সদর উপজেলা অনলাইন প্রেসক্লাবসহ একাধিক পত্রিকার সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে আসছিলো।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply