আকতারুল ইসলাম আকাশ,ভোলা ॥ ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের এক দরিদ্র জেলের কাছ থেকে ইলিশা নৌ-পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় স্পিডবোট চালক মো. শাহিন (২৭) মাঝির বিরুদ্ধে।দরিদ্র ওই জেলে রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দকপুর গ্রামের নূরে আলম মাঝির ছেলে দুলাল (৪৭) মাঝি।
জেলে দুলাল জানান, অভিযানের শেষের দিন ৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে মেঘনা নদীর রামদাসপুর চ্যানেলে মাছ ধরতে যান তিনি। বেলা সাড়ে বারোটার দিকে শাহিনের স্পিডবোট দিয়ে নৌ-পুলিশের কয়েকজন ফোর্স তাকে আটক করতে চেয়েছিলেন। পরে অনেক আকুতি-মিনতি করে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পান তিনি।
ওইদিন সন্ধ্যার দিকে স্পিডবোট মাঝি শাহিন তাঁর (দুলালের) বাড়িতে গিয়ে তাকে রাস্তায় ডেকে নিয়ে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। দুলার কিসের ঘুষ জানতে চাইলে, ‘শাহিন জানান নৌ-পুলিশ থাকে পাঠিয়েছে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিতে’।
তখন দুলার টাকাটা পরে দিবে বলে শাহিনকে জানায়। শাহিন চলে আসার পর দুলার খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নৌ-পুলিশের কেউই টাকার জন্য শাহিনকে পাঠায়নি। শাহিন নিজেই নৌ-পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে তাঁর কাছ থেকে ঘুষ আনতে চেয়েছিলেন।
এদিকে দুলার রোববার দুপুরে ইলিশা নৌ-থানা থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার পথে জংশন বাজারে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে দুলার মাঝিকে মারধর করেন শাহিন। মারধরের একপর্যায়ে শাহিন বলেন, ‘শালা তোকে ল্যাংটা করে পেটাবো, ‘তোর কত বড় সাহস আমি টাকা চেয়েছি সেটা তুই পুলিশ সাংবাদিকদের জানাইতেছো’। পুলিশ কি তোর কথায় চলে ? আমরা পুলিশের সাথে ২৪ ঘন্টা চলি, পুলিশ তো আমাদের কথায়ই চলবে।
এদিকে স্থানীয়রা দুলাল মাঝিকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেখেছেন।তবে শাহিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য বলে স্বীকার করেন তিনি। তবে এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে আপত্তি জানান তিনি।ইলিশা নৌ-থানার অফিসার্স ইনচার্জ সুজন পাল জানান, পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ঘুষ দাবি করলে তা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। এবিষয়টি এর আগে তাঁর জানা ছিল না।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply