নিজস্ব প্রতিবেদক : মেঘনা নদীর চাঁদপুরের হরিনা ফেরীঘাট ও আলু বাজার পয়েন্টে বালুবাহী বাল্কহেড থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজীর প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিচার দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন করেছে মালিক-শ্রমিকরা।
রবিবার (০৮ নভেম্বর) সকালে বরিশাল নগরীর চাঁদমারী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন মালিক-শ্রমিক নেতারা। স্মারকলিপিতে তারা অভিযুক্ত চাঁদাবাজদের কঠোর বিচার দাবি করেন।
ইমারত নির্মানে বালু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলে বালু আসে নৌপথে রাজবাড়ী জেলার পাকশি এবং কুস্টিয়া থেকে। বরিশাল অঞ্চলের অন্তত ৫শ’ বাল্ডহেড রাজবাড়ি এবং কুস্টিয়া থেকে বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলে বালু পরিবহন করে। পথিমধ্যে চাঁদপুরের হরিনা ফেরীঘাট ও আলু বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ট্রলার ও স্পীডবোট যোগে প্রতিটি বাল্ক হেডে হানা দিয়ে থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা নেয় স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
দাবিকৃত চাঁদা না দিলে বাল্কহেড শ্রমিকদের মারধর করে সাথে টাকা মুঠোফোন ও টাকা সহ মূল্যবান মালামাল লিুট করে নেয়। অনেক সময় বাল্কহেড আটকে রেখে নদীতে বালু ফেলে দেয়। কখনো বাল্কহেড ডুবিয়ে দেয়ার হুমকী দেয় তারা।
চাঁদপুরের ১০নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খান মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড থেকে চাঁদাবাজীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।
সব শেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদা না দেয়ায় বরিশালগামী বালুবাহী দুটি বাল্কহেডের ১০জন শ্রমিককে মারধর করে বাল্কহেড আটকে রাখে সন্ত্রাসীরা।
ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে রবিবার সকাল ১০টায় নগরীর চাঁদমারী এলাকায় কীর্তনখোলা নদীতে মানববন্ধন করে নির্যাতিত মালিক-শ্রমিকরা। মানববন্ধন থেকে মেঘনার চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী সেলিম খান ও তার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃস্টি কামনা করা হয়।
মানববন্ধন শেষে একই দাবীতে বরিশালের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন বাল্ডহেড মালিক-শ্রমিকরা।
বাল্কহেড শ্রমিকদের স্মারকলিপি যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরন করা সহ চাঁদপুর প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply