অনলাইন ডেস্ক ::এক নারীরকে নির্যাতন চালিয়ে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে শহরের টাউন হলের দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত রেজুলেশন করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সালাহউদ্দিন আহম্মেদ সালেক, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান রসুল, যুগ্মসম্পাদক মুজিবুল হক আকন্দ, তরুণ কর্মকার, প্রচার সম্পাদক এম আলম খান কামাল, দপ্তর সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম।
সভায় উপস্থিত কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, শারমিন মৌসুমি কেকার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতেই জেলা আওয়ামী লীগ জরুরি সভা করেছে। দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে শারমিন মৌসুমি কেকা সংগঠন বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছেন। বিভিন্ন অপকর্ম করে জেলা আওয়ামী লীগের সুনাম ক্ষুণœ করছেন তিনি। সভায় অংশ নেওয়া নেতৃবৃন্দ কেকাকে দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য সুপারিশ করেন। ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর নির্দেশেই এ সভা আহ্বান করা হয়েছে বলেও দলীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট এক নারীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও নির্যাতনের পরে চুল কেটে দেওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকা ও শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপুসহ ৬ জনের নামে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে রাতেই সদর থানায় মামলাটি লিপিবদ্ধ হয়।
এদিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভেঙে ও খেলার মাঠ নষ্ট করে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক স্টল নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে শারমিন মৌসুমি কেকার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন কেকা। তাঁর বিরুদ্ধে বিতর্কিত নেত্রী পাপিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগও রয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম বলেন, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে কেকাকে দল থেকে বহিষ্কারের। আমরা রেজুলেশন করে কেন্দ্রে পাঠাবো, তারাই ব্যবস্থা নিবেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply