খবর বরিশাল ডেস্ক ॥ নাব্য সংকটের চরম বিপর্যয়ে পড়েছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুট। ইলিশা ফেরিঘাট সংলগ্ন মেঘনায় ডুবোচর জেগে ওঠায় লঞ্চ ও ফেরি চলাচল করতে হচ্ছে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে। এতে গন্তব্যে পৌঁছতে দ্বিগুণ সময় লাগায় বেড়েছে জ্বালানি খরচও।
প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে এমন সংকট সৃষ্টি হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে মেঘনার বুকে জেগে উঠেছে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুবোচর। এতে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে নৌযান চলাচলের মূল চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে গেছে।
ফলে দীর্ঘপথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে ফেরি ও লঞ্চগুলোকে। নাব্য সংকটে রো রো ফেরিগুলোকে আড়াই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা লাগায় বেড়েছে জ্বালানি খরচ। ছোট ছোট লঞ্চও বিড়ম্বনায় পড়ছে।এ বিষয়ে ফেরি কৃষাণির মাস্টার কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘৫০০ মিটার পথ যদি ড্রেজিং করে দেয়া হয়, তাহলে আমাদের চলাচলে সুবিধা হয়। এতে পথ কমে আসবে, তেলও কম খরচ হবে। আমরা ফেরি চলাচলের অপারেশন তখন সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারব।
এমভি জনতা লঞ্চের চালক আবুল কাশেম বলেন, ‘বর্ষায় সোজা পথে চলতে পারতাম। এখন চর জাগায় ৪০ মিনিট সময় বেশি লাগছে। এতে তেল বেশি খরচ হচ্ছে। কিন্তু ভাড়া তো বাড়েনি।’এদিকে ফেরিতে মেঘনা পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগায় ভোগান্তির পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
এক পরিবহন শ্রমিক জানান, ‘চরে একবার ফেরি আটকে গেলে সারা দিন চলে যায়। এতে দেখা যায় সারা দিনে আর কোনো ট্রিপ পাওয়া যায় না। এত খরচ দিয়ে আমাদের পোষাচ্ছে না।’ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে না পারলে শুষ্ক মৌসুমে সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কা বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তার।
ভোলা বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার মো. আল আমিন বলেন, ‘নাব্য সংকট দিন দিন বাড়ছে। দ্রুত সমাধান করা না গেলে ভোগান্তি বাড়তে থাকবে।’ডুবোচরের কারণে নৌযান চলাচল ব্যাহত হলেও এর কোনো তথ্য নেই বিআইডব্লিউটিএ-র স্থানীয় কর্মকর্তার কাছে।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ-র সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।’ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে প্রতিদিন ৫টি ফেরিতে আড়াইশ বাস-ট্রাক ও ১৬টি লঞ্চে পাঁচ সহস্রাধিক যাত্রী পারাপার হন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply