শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:২৮

বরিশাল নৌ-বন্দরে সুমনের বেপরোয়া চাদাবাজি!

dynamic-sidebar

খবর বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল নৌ- বন্দরে মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং এর নামে দীর্ঘদিন যাবৎ লাখ লাখ টাকা চাদাবাজি করে আসছে ভাটারখাল এলাকার সুমন ওরফে (কইতর সুমন) ও তার সহযোগীরা । সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়,প্রতিদিন মধ্যেরাতে বরিশাল নৌ- বন্দরে যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে বিলাশবহুল ৮থেকে ১০টি লঞ্চ । আর সেই লঞ্চের যাত্রীদের বিভিন্ন স্থানে যেতে ব্যবহার হয় মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা।

 

 

 

সেই মাহেন্দ্রা গুলো নৌ- বন্দরে পাকিং স্থানে রেখে সিরিয়ালের নামে চলে চাদাবাজি। অভিযোগ রয়েছে, নগরীর ১০নং ওয়ার্ড ভাটার খাল এলাকার বিএনপি নেতা চিহ্নিত চাঁদাবাজ সুমন ওরফে (কইতর সুমন) নৌ- বন্দর এলাকায় পার্কিং করা প্রতিটি মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে প্রতিরাতে ২শত থেকে ৩শত টাকা করে উত্তোলন করে। আর সেই টাকার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হয় অতিরিক্ত ভাড়া। খোজ নিয়ে যানাযায়,বরিশাল মহানগর শ্রমীকলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাসের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ এই চাদাবাজি করে আসছে সুমন।

 

 

বিশ্বস্ত এক সুত্র জানায়,বরিশালের স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও প্রশাসনের পকেটেও চলে যায় এই চাদার ভাগের টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাহেন্দ্রা ড্রাইভার জানান, সুমনের সবচেয়ে বড় শক্তি নামধারী একজন সাংবাদিক। তিনি সুমনের এই চাদাবাজিতে একাট্টা সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। সুমন শুধু রাতে সিরিয়ালের জন্যই টাকা নেয় না। আবার প্রতিমাসেও দিতে হয় টাকা। ওই ড্রাইভার আরো জানান, সুমনের এই চাদাবাজির বিরুদ্ধে আমরা গত ২৭শে অক্টোবর মানববন্ধনও করেছিলাম। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে সুমন মামলা দিয়ে আবারো সেই চাদাবাজি করে আসছে।আমরা নাম প্রকাশ করলে আমাদের মাহেন্দ্রা চালানো বন্ধ হয়ে যাবে। ভাই আমরা পথে বসে যাব। সোহরাব নামের এক মাহেন্দ্রা ড্রাইভার জানান, সুমন ওই সাংবাদিকের মাধ্যমেই সকলকে ম্যানেজ করে। সুমন একাধিক মাদক মামলার আসামী হয়েও এক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।

 

 

সুমন নিজে মাহেন্দ্রা না চালালেও তার প্রথম সিরিয়াল। অনেক ড্রাইভার প্রতিবাদ করায় তাদেরকে হয় মিথ্যা মামলায় না হয় মারধরের শিকার হয়ে লঞ্চঘাট ছাড়তে হয়েছে। সুমনের এই অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয় না। এবিষয়ে কৌশল পাল্টে অভিযুক্ত সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভাই চাদাবাজি কই সবাইকে এই টাকা দিয়া আমার সামন্য কিছু থাকে। বিশ্বাস না করলে তখন তিনি ওই সাংবাদিকের নাম বলেন। পরে ওই সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন এবং চা খাওয়ার দাওয়াত দেন। এব্যাপারে বক্তব্যের জন্য মহানগর শ্রমীকলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাসের ব্যবহত নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

এ বিষয়ে কথা হয় বরিশাল সদর নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসনাত জামান এর সাথে তিনি জানান, এ ধরনের চাদাবাজির ঘটনা আগে ছিলো কিন্তু এখনতো এরকম কোনো ঘটনা বা অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ জানায়নি।যদি কোনো ড্রাইভার বা শ্রমিক অভিযগ দেয় তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।অভিযোগের বিষয়টির ভিন্নতা জানালেন কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত অফিসার) মোঃ লোকমান হোসেন,তিনি বলেন, মাঝে মাঝেই শুনি এরকম চাদাবাজির কথা কিন্তু এখনো কোনো ড্রাইভার আমাদের কাছে অভিযোগ দেইনি।তারপরও আমাদের পুলিশ সদস্যরা প্রায়ই সেখানে তদারকি করেন যাতে করে কেউ চাদাবাজি বা নিজ স্বার্থ হাসিল না করতে পারে। তিনি আরও বলেন, অভিযোগ ছাড়াও কোতোয়ালি থানা এরিয়ার মধ্যে কোথাও কেউ যদি চাদাবাজির চেস্টা করে তাহলেও তার বিরুদ্ধে আমরা একশন নিতে একটুও ভাববোনা তাতে সে যেই হোকনা কেনো।

 

 

এবিষয়ে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের নবাগত কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম বার জানান, এই শহরে চাদাবাজির কোন স্থান হবে না। আপনারা যেটা আমাকে জানালেন তদন্ত করে দোষীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net