বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:৪১

শিরোনাম :
রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ! বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল দুই উৎসবের ছুটি শেষে বরিশাল থেকে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ ঈদ আনন্দ থাকতেই বরিশালে বইছে পহেলা বৈশাখের আনন্দ

মাধবপাশায় সরকারি বরাদ্ধের খাস জমির তালিকায় ধনাঢ্য ব্যক্তি

dynamic-sidebar

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নে ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দ কৃত কার্ডের জমি পেয়েছে ধনাট্য ব্যক্তি।বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানাযায়, বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের মুশুরিয়া গ্রামের মৃত আক্কেল আলীর পুত্র ছাইদুল ইসলাম জণকল্যাণ সমবায় সমিতির (দারোগার হাট) এলাকার একাংশ জমির মালিক।

 

 

এছাড়াও একসময় তার পল্ট্রি ও ডেইরি ফার্মের ব্যবসা ছিল। আলীসান ভবনের মালিক হয়ে বিলাশ বহুল জীবন যাপন করছে ছাইদুল।স্থানীয়রা বলছে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন’র একান্ত সহচর হওয়ায় ধনকূপের হওয়া সত্যেও ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দ কৃত কার্ডের জমির তালিকায় ছাইদুলের নাম দিয়ে দেন জয়নাল চেয়ারম্যান। সূত্রে আরো জানাযায়, ছাইদুলের কার্ডে বরাদ্ধ পাওয়া জমির মালিক গুঠিয়া ইউনিয়নের মো: মজিবুর রহমান খসরু। তিনি চাঙ্গুরিয়া গ্রামের মৃত বজলুর রহমান সরদারের পুত্র।

 

১৯৯৫ সনে দেহেরগতি সাকিনের এস এ রেকর্ডীয় মালিক ধীরেন্দ্রনাথ মন্ডল ও তার স্ত্রী অঞ্জলী প্রভা মিত্র’র নিকট হতে উক্ত জমি ক্রয় করে মজিবুর রহমান সরদার।ক্রয়ের পর মালিকানা বুঝে নিয়ে মজিবুর সরদার বিভিন্ন প্রজাতীর ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপন করে। কয়েকদিন পূর্বে বসত ঘর সংস্কার করা কালীন সময় মুশুরিয়া গ্রামের ছাইদুল ইসলাম ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করে।পরবর্তীতে বিএমপি এয়ারপোর্ট থানার এএসআই মো: ইদ্রিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘর উত্তলন বন্ধ রেখে উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলে। উভয়পক্ষ থানায় আসলে তাদেরকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্ব স্ব অবস্থানে থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।থানা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ছাইদুল বৃহস্পতিবার শেষ রাতে শতাধীক লোক নিয়ে মুজিবুর সরদারের নির্মানাধীন ঘর ভেঙ্গেচুরে লুট করে নিয়ে যায়।

 

মুজিবুরের ভাই সরদার মাইনুল স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ৯৯৯ ফোন দিলে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এয়ারপোর্ট থানার এসআই রায়হান ও এএসআই ইদ্রিস। তারা উভয়পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে উভয় পক্ষের কাগজ পত্র স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে জমা দেয়ার জন্য বলে।এব্যাপারে মজিবুর রহমান খসরু বলেন, ‘আমি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে জমি ভোগ দখল করিতেছি। কিছু জমি নিয়ে বরিশাল বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সমুদয় জমি আমি ভোগ দখল করি এই মর্মে মাধবপাশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। ছাইদুল ইসলাম কার্ডে আমার নামীয় জমি বরাদ্ধ পেয়েছে তা আদৌ জানতাম না।

 

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতে এই প্রতিবেদক ধনাঢ্য ছাইদুল ইসলামের বাড়িতে গেলে তার নির্মিত বিলাসবহুল বাড়ির সামনে বসেই কথা হয় সাংবাদিকদের।সকল অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,এই বাড়িটি আমার শশুর তার মেয়েকে থাকার জন্য দিয়েছেন।আমার এখানে কোনো জমি ও বাড়ি নেই।একারণেই সরকারের দেয়া বরাদ্ধের কথা শুনে ইউনিয়ন পরিষদে জমির জন্য আবেদন করি।তিনি কথার ছলে একসময় বলে ফেলেন,মাধবপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে আমাদের একটা আত্বীয়তার সম্পর্ক থাকায় তেমন বেশি একটা সমস্যা হয়নি জমিটি পেতে।

 

এব্যাপারে ইউপি সদস্য মো: সুমন বলেন,‘ আমি উক্ত সৃষ্ট ঘটনা সম্পর্কে জানি।আমি যতটুকু জানি জমিটি এখনো মজিবুর সরদারের ভোগ দখলে।

 

এব্যাপারে এএসআই ইদ্রিস বলেন,‘ আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি, উভয়পক্ষকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মাধবপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন,সরেজমিন তদন্ত পূর্বক ছাইদুলকে সরকার ভুমি বরাদ্ধ দিয়েছে।এখানে আমার কোনোহাত নেই।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net