পরিবারের দাবী পরকল্পিত হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেক ॥ বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের দিনার গ্রামে হেলেনা আক্তার মুন্নি (১২) নামে এক স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক ঝুলন্ত মরদেহ নিয়ে ধম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে রোববার বিকেলে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
পরিবারের দাবী করছে স্কুলছাত্রী মুন্নিকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহত মুন্নি ওই এলাকার হেলাল হাওলাদারের মেয়ে। সে স্থানীয় দিনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। জানা গেছে, হেলাল হাওলাদার দিনার গ্রামে ফরুক খানের বাসায় ভাড়া থাকতেন।সাংবাদিকরা স্কুলছাত্রী মুন্নির বাড়িতে গেলে তার মা রেনু বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান,তার স্বামী ভ্যান চালায় এবং সে নগরীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।দুজনেই কাজের তাগিদে বাহিরে থাকায় ঘটনার দিন ঘরে কেউ ছিল না। রাতে কাজ শেষে বাড়িতে ফিরলে মুন্নিকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি ।মুন্নির মরদেহ ঝুলন্ত থাকলেও তার হাঁটু ভাঁজ হয়ে মেঝের সঙ্গে লেগে ছিল বলে জানান রেনু বেগম।
নিহত মুন্নির মা অভিযোগ করে বলেন,আমার মেয়েকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি জানাচ্ছি। তবে কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।মুন্নির নানী আমেনা বেগম জানান, নিহত মুন্নির দুই পা ও পরনের পোশাকে কাদা লেগে ছিল। মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামানোর পর আমি তার গোপনাঙ্গে সামন্য রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছি।
হয়তো কেউ ধর্ষণ করে বা ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মুন্নিকে হত্যা করার পরে ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে হত্যাকারীরা আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।তিনি আরো জানান, মুন্নির মরদেহ যে স্থানে ঝুলছিল তার পাশে টেবিলের ওপর একটি বাটিতে ভাত ও একটি চা ভর্তি কাপ ছিল। সে যদি আত্মহত্যা করতো তাহলে মৃত্যুর আগমুহূর্তে তার হাত-পায়ের
ছোড়াছুড়িতে টেবিলে থাকা চায়ের কাপ মাটিতে পড়ে যাওয়ার কথা কিন্তু সেরকম কোনো কিছুই ঘটেনি।
এছাড়াও ঘটনার দিন রাতে যখন আমরা মুন্নির মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই তখন ঘরের মেইন দরজা খোলা ছিল।যাতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে,ঘটনার সময় মুন্নি ছাড়াও অন্য কেউ ঘরে প্রবেশ করেছিল। এ বিষয়ে বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন,মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।সে অনুযায়ী পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply