মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ২২০/৭, ২০ ওভার (শান্ত ১০৯, ইমন ৬৯)
ক্রীড়া ডেস্কঃ টুর্নামেন্টে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ স্কোর, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর, যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি– এতোকিছু যোগ করে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। নাজমুল হোসেন শান্তর ৫৪ বলে ১০৯, আনিসুল ইসলাম ইমনের সঙ্গে ১৩১ রানের ওপেনিং জুটির পর ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ২২০ রান তুলেছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। শেষের ‘ডেজার্ট’ হিসেবে কামরুল ইসলাম রাব্বি শেষ ওভারে গিয়ে করেছেন হ্যাটট্রিক, ৫ বলের ব্যবধানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। মিরপুরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়াইয়ের প্রথম ধাপটা বেশ একপেশে হলেও সেটি হয়েছে রোমাঞ্চকর।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল, প্রথম ২ ওভার ছিল তাদের পক্ষেই। তবে তৃতীয় ওভার থেকে সে সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখানো শুরু করেছিলেন আনিসুল ইসলাম ইমন। সুমন খানকে টানা তিন চার মেরেছিলেন, তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে উঠেছিল ৩০ রান। ৫ম ওভারে আবু জায়েদ রাহি চাপ তৈরি করেছিলেন, কামরুল ইসলাম রাব্বি এসে সেসব মিলিয়ে দিয়েছেন। ৭ম ওভারে রাহি আবারও লাগাম টেনেছিলেন, তাসকিন পরের ওভারে সেটি ধরে রাখতে পারেননি। ৯ম ওভারের দ্বিতীয় বলটা করার সময় মাংসপেশির টানে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে রাহিকে, রাজশাহী এরপর বরিশালের ওপর চালিয়েছে তান্ডব। পুরো ইনিংসজুড়েই বরিশাল বোলাররা লেংথ বা লাইন খুঁজে পাননি, হয় বেশি ওয়াইড, অথবা বেশি শর্ট অথবা বেশি ফুললেংথে গেছেন তারা। বিপরীতে ইমন, শান্ত কিংবা রাজশাহীর পরের ব্যাটসম্যানরাও দুহাতে সেসব সুযোগ নিয়েছেন, হিটিং আর প্লেসমেন্টে তারা ছিলেন দুর্দান্ত।
প্রথমদিকে শান্ত ছিলেন চুপচাপ, ইমনের সঙ্গীর ভূমিকাই পালন করছিলেন তিনি। প্রথম ১২ বলে করেছিলেন ৭ রান, প্রথম ১৯ বলে সমানসংখ্যক রান। ইমন যতক্ষণে ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন, শান্ত ততক্ষণে চলে গেছেন ২৬ বলে ৩৭ রানে। প্রথম ১০ ওভারে ১০৭ রান তুলেছিলেন দুজন, প্রথম ব্রেকথ্রু ১৩তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল বরিশালকে। সুমনের বাইরের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে পয়েন্টে আফিফের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ইমন করেছেন ৩৯ বলে ৬৯, ৭টি চারের সঙ্গে ৩টি ছয়।
ইমনকে থামালেও শান্তকে শীঘ্রই থামাতে পারেনি বরিশাল। ৩২ বলে ফিফটি করেছেন, পরের ফিফটিতে গেছেন মাত্র ২০ বলে। এর মাঝে আফিফকে এক ওভারেই মেরেছেন ৩ ছয়। নব্বই পেরিয়ে একটু ধীরগতির ছিলেন তুলনামূলক, ১৭ ও ১৮তম ওভারে বরিশাল দিয়েছিল মাত্র ৯ রান, নিয়েছিল ২ উইকেট। সুমনের দারুণ ফিরতি ক্যাচে রনি তালুকদার ফেরার পরের বলেই মাহাদি হয়েছেন রান-আউট।
তবে ১৯তম ওভারে আবারও রাজশাহীকে নিয়ে আরেকটি লাফ দিয়েছেন শান্ত ও সোহান, তাসকিনের সে ওভারে এসেছে ৩টি ছয়। এর মাঝে প্রথমটি দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়েছে শান্তর, শেষ বঙ্গবন্ধু বিপিএলে করেছিলেন প্রথমটি।
বিস্তারিত আসছে…
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply