নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের বিলাসবহুল ‘সুন্দরবন-১১’ লঞ্চের ছাদ থেকে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭) নভেম্বর সকালে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর কর্মচারীরা লঞ্চ পরিষ্কার করতে গেলে তিন তলার ছাদে ধোঁয়া নির্গমনের চিমনির আড়ালে ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পায়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সিরাজ। আগের রাতে ঢাকা সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে সুন্দরবন-১১ নামের লঞ্চটি।পুলিশের ধারণা, রাতের কোনো এক সময়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর যুবকের মরদেহ ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।বরিশাল নৌ পুলিশ থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে লঞ্চটি বরিশাল ঘাটে পৌঁছায়।
বেশিরভাগ যাত্রী নেমে গেলে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্মচারীরা লঞ্চে ধোয়ামোছা শুরুকরার সময় লঞ্চের পেছনের দিকে ছাদে যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে নৌ পুলিশে খবর দেয় লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।খুন হওয়া যুবক ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কলানিবি গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র শামীম (২৪)।ঢাকায় একটি বেসরকারী কম্পানিতে চাকুরি করতো শামীমের মামার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বরিশাল সদর নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ঘটনার পরপরই সিআইডি ক্রাইমসিন, সিআইডি, র্যাব ও কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের উপস্থিতিতে বরিশালস্থ সিআইডি ক্রইমসিনের চার্জ ইন্সপেক্টর আল মামুনের নেতৃত্বে মোঃ সেলিমও মোঃ নুরুল আলমের দল সেখানে উপস্থিত হয়ে হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে কাজ সম্পন্ন করেছেন।এসময় নৌ পুলিশের এএসপি আহসান হাবীব বলেন তারা লঞ্চ পরিদর্শন করে দেখেছেন এখানে যাত্রীদের নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা নেই।স্টাফরা মালিক পক্ষের স্বার্থ রক্ষার কাজ করেন বলে তাদের ধারনা। একই সময় লাশের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে একাধিক ব্যক্তি ছিল বোঝা যায় হত্যার পূর্বে ধস্তাধস্তি হয়েছে।
এছাড়া এতটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তি ডেকের যাত্রী ছিল।নিহত যুবকের পেটে দুটি ও বুকে তিনটিছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত যুবকের হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এখনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply