শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:০৩

শিরোনাম :
সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ! বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল দুই উৎসবের ছুটি শেষে বরিশাল থেকে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ ঈদ আনন্দ থাকতেই বরিশালে বইছে পহেলা বৈশাখের আনন্দ সাংবাদিক মামুন অর রশিদের মায়ের মৃত্যুতে এস এম জাকির’র শোক

বরিশাল বিএমপি পুলিশের সিনিয়র এএসপিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

dynamic-sidebar

অনলাইন ডেস্কঃ  রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে কর্মচারীদের পিটুনিতে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১ বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি সর্বশেষ বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে।পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মানসিক সমস্যার কারণে সোমবার হাসপাতালটিতে ভর্তি করার পরপরই কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তার ভাই রেজাউল করিম।তিনি বলেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মাইন্ড এইড হাসপাতালে যান। কাউন্টারে ভর্তি ফরম পূরণের সময় কয়েকজন কর্মচারী তার ভাইকে দোতলায় নিয়ে যান। কিছু সময় পরই জানানো হয়, আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। এরপর তারা তাকে দ্রুত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক জানান তিনি মৃত।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী আনিসুলকে জোর করে এক কক্ষে ঢোকাচ্ছেন। সেখানে ছয়জন তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেছেন। আরও দুই জন তার পা চেপে ধরেছেন এবং মাথার দিকে থাকা দুই জন কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছেন।

হাসাপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন তাদের পাশে দাড়িয়ে আছেন। এসময় একটি কাপড় দিয়ে আনিসুলের দুই হাত বাঁধা হয়। চার মিনিট পর আনিসুলকে যখন উপুড় করা হয় তখন তার কোনো সাড়া-শব্দ ছিল না। একজন কর্মচারী তার মুখে পানি ছিটালেও সাড়া দিচ্ছেন না আনিসুল।রেজাউল করিম বলেন, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে ভুগছিলেন আনিসুল। কিন্তু সেগুলো গুরুতর নয়। হাসপাতালে পিটুনিতেই তার মৃত্যু হয়েছে।

মাইন্ড এইড হাসপাতালের সমন্বয়ক ইমরান খান বলেন, আনিসুলকে জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউট থেকে তাদের হাসপাতালে নেয়ার পরপরই তিনি উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন। তাকে শান্ত করতেই কক্ষটিতে নেয়া হয়।সিসিটিভি ফুটেজের মারধর করতে দেখা যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইমরান খান বলেন, তখন তিনি হাসপাতালে ছিলেন না।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net