নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চলছে প্রজনন মৌসুমের ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান। সরকারি সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে ইলিশ শিকার প্রতিরোধ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে গত পাঁচ দিনে আটক ৯৯ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আর নিয়মিত মামলা হয়েছে চারটি। এছাড়া অভিযানে অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়েছে ১৫ কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) নৌ-পুলিশ বরিশাল অঞ্চলের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ পরিদর্শক আবু তাহের বলেন, জব্দ করা মাছ এতিমখানায় ও উদ্ধার করা জাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের অনুমতিক্রমে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার করা জেলেদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। বাকিদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোর্পদ করা হলে আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
নৌ-পুলিশ জানায়, বরিশাল অঞ্চলের ১৫টি পুলিশ স্টেশনে গত ২৪ ঘণ্টায় (অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে ১৯ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১৪ জন জেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময়ে ৮৫ লাখ ২৩ হাজার মিটার অবৈধ জাল ২৯০ কেজি মাছ, নয়টি নৌকা জব্দ করা হয়। এরমধ্যে জালের আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ ২৬ হাজার টাকা ও মাছের মূল্য এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
নৌ-পুলিশ বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন জানান, প্রথমত আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকারে নিরুৎসাহিত করতে। এজন্য প্রচার-প্রচারণা জোর দিয়ে চালানো হচ্ছে। কিন্তু যেসব মানুষ কোনো নির্দেশনাই মানছেন না, নদীতে নেমে ইলিশ শিকার করছেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের প্রজনন মৌসুমের ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু হয়। যা শেষ হবে আগামী ৪ নভেম্বর রাত ১২টায়। এ সময়ের মধ্যে নদীতে মাছ শিকার, ইলিশ বিপণন ও সংরক্ষণ আইনত দণ্ডনীয়।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply