নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঝালকাঠি জেলার বিনয়কাঠী ইউনয়নের ২নং ওয়ার্ডের সরকারি বাজিদপুর ফ্রি প্রাইমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রিপন মোল্লার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রোজিনা আক্তার(৩২)ছদ্বনাম।
গত (২৪সেপ্টেম্বর) ঝালকাঠি থানায় অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দ্বায়ের করেন ওই অভিভাবক। অভিযোগে শিক্ষার্থীর(মা) অভিভাবক দাবি করেছেন,বাজিদপুর ফ্রি প্রাইমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রিপন মোল্লা পারিবারিক সম্পর্কে আমার স্বামীর চাচাতো ভাই(ভাষুর) হন এবং আমরা পারিবারিক সম্পর্কের কারনে একই বাড়িতে বসবাস করে আসছি। আমার স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম ব্যবসায়ীক কাজের জন্য সিলেটের সুনামগঞ্জে বসবাস করেন। দীর্ঘদিন পর পর তিনি বাড়িতে আসেন।
আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রিপন মোল্লা প্রায় কয়েক মাস যাবত আমাকে নানা কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছেন । স্বামী, সন্তান এবং লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানাননি। এতে সহকারী শিক্ষক এ কাজ থেকে বিরত থাকা তো দূরে থাক তাকে উত্ত্যক্ত করার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। কিছুদিন পূর্বে আমার ছেলেকে বিনা কারণে স্কুল চলাকালীন সময়ে মারধর করার অভিযোগে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে রিপন মোল্লা ফের আমাকে নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কু-প্রস্তাব দেয়ার এক পর্যায়ে আমাকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়।
তখন কোনো রকমে নিজেকে রক্ষা করে আমি বাড়িতে চলে আসি। এ বিষয় নিয়ে রিপন মোল্লা তাকে এবং তার পরিবারকে নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছেন।রিপন মোল্লার এ সকল কর্মকাণ্ডের সহযোগিতা করেন বজলু মাঝির ছেলে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী শাওন মাঝি(২৫) এবং মৃত সফিজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে কবির মোল্লা। এজন্য সরেজমিন তদন্ত করে সঠিক বিচার চেয়েছেন ওই ভুক্তোভুগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মো. রিপন মোল্লার সাথে যোগাযোগ করতে তার ব্যবহত ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান,যৌন হয়রানীর একটি অভিযোগ পেয়েছি।সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply