নিজস্ব প্রতিবেদকঃবিসিসির ১৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ আলেকান্দা (নূরিয়া স্কুল সংলগ্ন) খাঁনবাড়ি নিবাসী মোসাঃ মুক্তা বেগম, পিতা- মৃত আব্দুল মান্নান খাঁন তার টিনের ঘরটি রক্ষায় বিসিসির নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার স্বার্থে বিবাদী মোঃ দুলাল হোসেনের জোড় পূর্বক চলমান কাজের স্থগিতাদেশ চেয়ে বিসিসি মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে (২১ জুলাই) মঙ্গলবার নগরভবনে বিসিসি মেয়র বরাবরে একটি আবেদন করেন মুক্তা বেগম। আবেদনে বলা হয়, নূরিয়া স্কুল থেকে রিফিউজি কলোনি যাওয়ার ওবায়দুর রহমান মূল সড়কের পাশেই মুক্তা বেগমের টিনের ঘরটি ভাড়া অবস্থায় আছে। ঘরের পাশে খালি প্লটে মোঃ দুলাল হোসেন প্লান বহির্ভূত ও বিসিসির নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে জোড় পূর্বক মুক্তাবেগমের টিনের চাল কেটে এবং ওয়াল ঘেষে পাঁকা ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছেন।
মুক্তাবেগম সহ এলাকাবাসী তাকে নিষেধ করা স্বত্বেও মোঃ দুলাল হোসেন এক ইঞ্চি পরিমাণ জমিও না রেখে তিনি মুক্তা বেগমের জমির ভিতর ঢুকে ভবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ভবন নির্মাণকারী মোঃ দুলাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার ভবনটি বিসিসির অনুমোদনহীন ও প্লান বহির্ভূত ভাবে করছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি জানান তার নির্মাণাধীন ভবনটি মাথাগোঁজার ঠাই হিসেবে অস্থায়ী ভাবে তৈরি করছেন । বিসিসির ১৪ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে দুলাল হোসেনের পক্ষে তার ছোট ভাই জানান, তারা সিটি কর্পোরেশনে স্থায়ী বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য প্লান জমা দিয়েছেন। কিন্তু অস্থায়ী এই ভবনটির জন্য বিসিসির সাথে কোনপ্রকার যোগাযোগ করা হয় নি। তবে ক্রয়কৃত এই সম্পত্তির পুরাতন হোল্ডিং নম্বর আছে, তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স,পানি বিল এবং বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসছেন। জমিটির চলমান মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সঠিক রেকর্ড পর্চা দেখেই তারা জমি ক্রয় করেছেন। সম্প্রতি তিনি জনমুখে জানতে পারেন, জমি বিক্রেতার সাথে স্থানীয় এক প্রবাসীর মামলা চলমান আছে ।
আবেদনকারী মুক্তা বেগমের স্বামী মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, তার প্রতিবেশী মোঃ দুলাল হোসেনকে তিনি সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারের উপস্থিতিতে জমির সীমানা নির্ধারণ করে ভবনের কাজ করার অনুরোধ স্বত্ত্বেও তিনি কোন নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে তার টিনের চাল কেটে এবং ঘরের সাথে এক ইঞ্চি জায়গাও না রেখে পাঁকা ভবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনি নগরপিতার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিসিসির ১৪ নং ওয়ার্ডের রোড ইনস্পেকটর অনিক চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আবেদনটি এখনো হাতে পাননি বলে জানান। আবেদনটি উর্ধতন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর হয়ে তার হাতে আসলেই তিনি বিসিসির নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
তিনি আরো জানান, বিসিসির নিয়মানুযায়ী কোনভাবেই প্লান পাশ না করিয়ে কেউ ভবন নির্মাণ করতে পারবেন না এবং নিজ সীমানার চারপাশে কমপক্ষে তিনফুট জমি রাখতে হবে। মোঃ দুলাল হোসেনের অস্থায়ী ভবনের বিষয়ে অবহিত নন বলেও জানান তিনি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply