নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল নগরীতে চাঁদার দাবীতে দুই মাহিন্দ্রা চালককে দফায় দফায় পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।আহত সূত্রে জানাযায় নগরীর লঞ্চ এলাকার মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদকের নিজ কক্ষে ঘটনাটি ঘটেছে ।
আহতরা হলেন,নগরীর ১১ নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা গলির আছমত আলী খানের ছেলে মাহিন্দ্রা চালক শহিদ খান ও ১২নং ওয়ার্ডের চরের বাড়ির এলাকার মৃত আবুল হোসেন হাওলাদার ছেলে মামুন।১০ নং ওয়ার্ডের ভাটার খাল এলাকার সুমন নামের এক যুবক তাদের কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় তাদেরকে মারধর করে।
বিষয়টি নিয়ে মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস সমাধান করে দেয়ারআশ্বাস দেন।এরই প্রেক্ষাপটে শনিবার (৪ জুলাই) রাত ৮ দিকে লঞ্চঘাট শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস’র কক্ষে উভয় পক্ষের কথা শুনে তিনি সমীমাংসা করার আগ মুহূর্তে শহিদ ও মামুনের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ছিচকে সন্ত্রাসী সুমন,ফয়সাল,রাকিব,মিলন,রাজিবসহ ৫/৭ জন ।
পরবরতীতে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় শ্রমিক লীগ সম্পাদকপরিমল চন্দ্র দাস সেখান থেকে চলে যান। অপরদিকে আহত, শহিদ,মামুন নিজ এলাকায় যাওয়ার সময় ১১ নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা গলি নামক স্থানে পৌ’ছালে ফের তাদের উপর হামলা চালায় সুমন বাহিনী তখন লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। শহিদ,মামুনের ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করেন।
জানা গেছে, লঞ্চ যাত্রীদের নিতে প্রতিরাতে ৫০/৬০টি মাহিন্দ্রা চালক লঞ্চঘাটের সামনে থাকেন। তাদের কাছ থেকে গাড়ি প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা নেয় সন্ত্রাসী সুমন। যারা টাকা দিয়ে থাকেন তাদের গাড়ি লঞ্চঘটের ভিতরে প্রবেশ করে। বিষয়টি নিয়ে মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাসকে একাধীকবার ফোন দিলে তিনি তা রিসিফ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি । এঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা কারার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আহতর পরিবার।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply