শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:৪৬

শিরোনাম :
প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ! বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল
সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কে কোনো ধরনাই নেই কৃষি শ্রমিকদের

সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কে কোনো ধরনাই নেই কৃষি শ্রমিকদের

dynamic-sidebar

অনলাইন ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বাজারে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শ্রমিকরা বোঝেন না সামাজিক দূরত্ব কী। নেই তাদের মুখে মাস্ক। কেউ কেউ বলছেন ‘করোনা ভাইরাস হামাগ গরিব মানুষকে ধরবে না’।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষক নিজেদের ধান কাটতে মির্জাপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে এসে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায় পর্যন্ত শ্রমিক নিচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে প্রায় ২০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন কৃষক। অসময়ে আম্ফানের ফলে কয়েকদিন যাবত বৃষ্টি হওয়ায় মির্জাপুর উপজেলার পৌরসভা, ফতেপুর, ভাওড়া, বহুরিয়া, ভাতগ্রাম, মহেড়া, বানাইল, লতিফপুর, আনাইতারা ও উয়ার্শী ইউনিয়নে শত শত একর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক।

এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকা এবং যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত কৃষি শ্রমিক না আসতে পারায় সংকট সৃষ্টি হয়। মাঝে মধ্যে কিছু শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাও ১০০০- ১১০০ টাকায় নিতে হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাজারে পর্যাপ্ত শ্রমিক না থাকায় উপজেলায় প্রায় ৩শ একর জমির ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। এছাড়া অনেক জমির কাঁচা, আধাপাকা ও পাকা ধান পানিতে ভাসছে। পানিতে চক ভরে যাওয়ায় খেতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। অনেকেই ধান কেটে নৌকা, কলাগাছের ভেলা ও ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে পাড়ে আনছেন। এতে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছ বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

অপরদিকে রোববার থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হওয়ার পর সোমবার থেকে কৃষি শ্রমিক আসতে শুরু করেছেন। জমির অবস্থান ও দূরত্ব জেনে দাম প্রতিজন ৭৫০-৮৫০ টাকা করে নিচ্ছেন।

মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত শ্রমিক সামাজিক দূরত্ব না মেনেই গা ঘেঁষে অবস্থান করছেন। সামাজিক দূরত্ব ও মুখে মাস্ক না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কেউ কেউ বলছেন করোনা ভাইরাস তাদের মতো গরিব মানুষকে ধরবে না। অনেক কষ্ট করে বাড়ি থেকে এসেছেন। ভাড়াও বেশি লেগেছে। বাড়ি থেকে শুনেছেন দাম ভালো। এসে দেখছেন কমে গেছে।

থলপাড়া গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি প্রায় ৫ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। কিছু জমির ধান তলিয়ে গেছে। আবার কিছু জেগে আছে। ৯৫০ টাকা করে শ্রমিক নিয়ে কিছু ধান কেটেছেন।

থলপাড়া গ্রামের আরেক কৃষক ইসরাইল হোসেন বলেন, তারা চার ভাই ও এক বোন মিলে প্রায় ১০ একর জমিতে ধান চাষ করেছেন। সব ধান পানিতে ভাসছে। দাম দিয়ে শ্রমিক আনলেও তারা কাজে এসে না করার কথা বলে চলে যেতে চান। আবার তাদের টাকা বাড়িয়ে ধান কাটাতে হচ্ছে। পানির ভেতরে শ্রমিক কাজ করতে চাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

লতিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জানান, অসময়ের বৃষ্টিতে কৃষকের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।

মির্জাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানান, অসময়ে টানা বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের ধান তলিয়ে গেছে। এ উপজেলার কৃষকের প্রায় ৩০০ একর জমির ধান পানির নিচে নিমজ্জিত। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। কৃষি শ্রমিকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ব্যবহার করে কাজ করতে হবে। এজন্য কৃষক ও শ্রমিকদের সচেতন থাকতে হবে বলে তিনি জানান।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net