শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৩৬

বাউফলে যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় মেয়র ও সাংবাদিকসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাউফলে যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় মেয়র ও সাংবাদিকসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

dynamic-sidebar

বাউফল প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ নেতা তাপস কুমার দাস খুনের ঘটনায় বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই পঙ্কজ কুমার দাস বাদী হয়ে সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় একজন সাংবাদিককেও আসামী করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৪ মে বাউফল থানা সংলগ্ন জেলা পরিষদের সামনে একটি তোরণ নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমপি আসম ফিরোজ এবং পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক জুয়েল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় তাপস কুমার দাস (৩৪) নামের এক যুবলীগ নেতা আহত হন। ওই দিন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ কুমার দাস বাদী হয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ ৩৫ জনকে আসামী করা হয়। এ মামলায় মেয়র জুয়েল ছাড়াও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রাহাদ জামসেদ, বাউফল সরকারী কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফকে আসামী করা হয়েছে।

এ মামালায় প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি এবিএম মিজানুর রহমানকে ২০ নম্বর আসামী করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য আসামীরাও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।

সাংবাদিক মিজান বলেন, ‘ তাকে হয়রানি করার উদ্দেশেই এই মামলায় আসামী করা হয়েছে। বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাদীর টাইপ করার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারি এই মামলায় একজন সাংবাদিককে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করবে। মামলায় নিরপরাধ কোন ব্যক্তিদের হয়রানি হওয়ার সুযোগ নেই।’

খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য থানার কনফারেন্স রুমে বৈঠক শুরু হয়। ওই বৈঠকে মেয়রসহ নাজিরপুরের চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক চলাকালীন সময় কালাইয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদ মনির হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসে ফের ব্যানার স্থাপনে বাধা দেয়। পুলিশের লোকজন লাঠিচার্জ করে পরিবেশ শান্ত করে। ওই সময় তাপস কুমার দাস নামের এক ব্যক্তি আহত হন এবং তিনি পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net