শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৭:১১

শিরোনাম :
সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ! বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল দুই উৎসবের ছুটি শেষে বরিশাল থেকে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ ঈদ আনন্দ থাকতেই বরিশালে বইছে পহেলা বৈশাখের আনন্দ সাংবাদিক মামুন অর রশিদের মায়ের মৃত্যুতে এস এম জাকির’র শোক
নলছিটি উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ

নলছিটি উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ

dynamic-sidebar

নিজস্ব প্রতিবেদকঃঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মন্নান সিকদারের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের কার্ড বিতরণে অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজের অপরাধ ইউপি সদস্যদের মাথায় দিয়ে নিরাপদে পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বললে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় ইউপি সদস্যদের।

 

সন্ত্রাসের রাজত্ব বানিয়ে সুবিদপুর ইউনিয়ন থেকে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শনিবার সকালে নলবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রেজাউল করিম সোহাগ খান। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মাষ্টার উপস্থিত ছিলেন।

 

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল নিয়ে কারসাজির অভিযোগে ১৫ মার্চ সোহাগ খানকে এক মাসের কারাদÐ প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে গত ৫ মে তাকে ইউপি সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
লিখিত অভিযোগে সাবেক এ জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করেন, তাকে যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে, এ ধরণের অভিযোগ রয়েছে সকল জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাণ আবদুল মন্নান সিকদারের নির্দেশ ছাড়া কোন সদস্য কিছুই করতে পারেন না। তালিকা করে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিলেও তিনি নিজের পছন্দের লোকজনের নাম ঢুকিয়ে তালিকা জমা দেন। এখানে ইউপি সদ্যদের কোন দোষ নেই। সুতরাং বরখাস্ত করতে হলে চেয়ারম্যানকেই করা প্রয়োজন।

 

লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মন্নান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় করেছেন। নিজের নামে, স্ত্রী ও সন্তানদের নামেও একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। তালতলা বাজারে রয়েছে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সবকিছুই করেছেন সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে মানুষকে ঠকিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে। সঠিক তদন্ত হলে তাঁর দুর্নীতির চিত্র বেড়িয়ে আসবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

 

এ ব্যাপারে সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মন্নান সিকদার বলেন, আমার নামে যদি দুর্নীতি ও অনিয়মের কোন কিছু প্রমান করতে পারে, তাহলে সরকার জেল দিলেও মাথা পেতে নেবো। যারা অভিযোগ করছেন, তাদের দুর্নীতি ঢাকতে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমি কখনো দুর্নীতি ও অনিময়ন করি না। আমার অতিরিক্ত কোন সম্পদ নেই। আগে যে রকমের ছিলাম, এখনো সেভাবেই আছি।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net