শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:৫৬

কুয়াকাটায় খাল খননে মানা হচ্ছে না সরকারি নকশা

dynamic-sidebar

কুয়াকাটা প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভা এবং লতাচাপলী ইউনিয়নের খাল খননের ফলে কৃষকসহ সাধারণ মানুষের কৃষিকাজে জলবদ্ধতার শঙ্কা কেটে যাবে। পাশাপাশি রান্না, গোসলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহারের পানির সমস্যার সমাধান হবে। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন কুয়াকাটাসহ লতাচাপলী ইউনিয়নের ৪৮ নম্বর পোল্ডারের অধীণে ৩০ কিলোমিটার খাল পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়ায় এমন সুফল পাবেন কৃষকরা।

খালের দুইপাড়ের বসবাসকরা মানুষদের মৎস্য আহরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে কুয়াকাটার উন্নয়নে এমন কাজের সুফল পাবেন অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ। ইতোমধ্যে সাড়ে সাত কিমি অংশের খালের পুনঃখননের কাজ গত ৩০ মার্চ শুরু হয়েছে। লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর থেকে শুরু হওয়া খালটি কুয়াকাটা পৌরএলাকার ফাঁিসপাড়া গিয়ে শেষ হয়েছে। করোনার মধ্যেও থেমে নেই এই পুনঃখনন কাজ।

একটি সুত্রে জানা গেছে, আলীপুর অংশ থেকে খালটির সাড়ে সাত কিমি পুনঃখনন করার কাজ শুরু হয়েছে। বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দে সাত দশমিক ৪৬৫ কিমি দীর্ঘ এখালটির পুনঃখননের কথা রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কঙ্গম ইন্টারন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন (সিকো) খননের কাজটি করছে।

নিয়ম রয়েছে খালটির তলদেশ মাথা (আগা) থেকে দুই দশমিক পাঁচ মিটার থেকে গোড়ার দিকে নয় দশমিক পাঁচ মিটার খনন করা হবে। টপ থাকবে নয় থেকে ১৫মিটার পর্যন্ত। গভীরতা এক থেকে দেড় মিটার পর্যন্ত। আগামী জুন মাসে সাড়ে সাত কিঃমিঃ পুনঃখননের কাজ শেষ হওয়ার টার্গেট রয়েছে।

উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক মো. মজিবুর রহমান জানান, এ পোল্ডারে মোট ৩০ কিমি খাল পর্যায়ক্রমে পুনঃখনন করা হবে। এই খালটির প্রায় দুই কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ যথাসময় শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন।

এ পরামর্শক জানান, খালটি পুনঃখনন হলে ড্রেনেজ ব্যবস্থার সুষ্ঠু সমাধান হবে। তাছাড়া রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মৃতপ্রায় এখাল গুলোকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে। পানির প্রবাহ চলমান থাকায় পর্যটন এলাকার সৌন্দর্যবর্ধন হবে।

দুই পাড়ের একাধিক বাসীন্দা জানান, আসলে মূল খালটি আগে চিহ্নিত করে তারপর পুনঃখনন করার দরকার ছিল। নইলে বাড়তি খাস জমি এখন দখল হয়ে যাবে। আর খননে নামকা ওয়াস্তে মাটি স্কুভিটার (বেকু) মেশিনে তোলা হচ্ছে। দুই পাড় লেভেল করে দেয়া হচ্ছে। রাতের বেলা কাদা তুলে সকালে পানি তুলে দেয়া হয়। বোঝার কোন উপায় নেই।

তবে প্রকল্পের পরামর্শক মজিবুর রহমান জানান, বহুদফা সমীক্ষা চালানোর পরে যথাযথভাবে কাজটি করা হচ্ছে। লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছারউদ্দিন মোল্লা জানান, খালটি আরও গভীর এবং প্রস্থ করে খনন করার দরকার ছিল। নইলে খাস অংশ দখল হয়ে যাবে। খালটির স্লুইসের অংশের সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা তার ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে।

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, খালটি খননে জলাবদ্ধতার সমস্যা কেটে যাবে। তবে দুই পাড়ের মাটি সংরক্ষণ করতে পারলে দুই পাড়ে দুইটি সড়ক করে দিলে মানুষের উপকার হতো। পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেত।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net