শফিক মুন্সি ::
সংক্রামক নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনার আলোকে আগামী ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেখানকার সকল ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত থাকবে৷ এছাড়া ১৮ মার্চ সকাল ১০ টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ মুহসিন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ জারি করা হয়।
বন্ধের এই পুরো সময়টা সতর্কতার সঙ্গে সাবধানে কাটাতে শিক্ষার্থীদের আহবান জানিয়েছেন সেখানকার উপাচার্য প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিন। তিনি জানান, যদিও বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এখনও বিপদজনক নয়, তবু এটাকে হেলা করার মতো দৃষ্টিতে দেখলে চলবে না৷ প্রয়োজন না থাকলে বাসা থেকে না বেড়োনোটাই উচিত হবে সবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ সকল শিক্ষার্থী যেন কোনো প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে না পড়ে সেজন্যই হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
উপাচার্য আরো বলেন, “আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাজের অন্য অনেকের চেয়ে বেশি সচেতন । করোনা নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি কিছু বিভ্রান্তিমূলক খবরও পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার দৃঢ় আহবান থাকবে তারা যেন করোনা বিষয়ক সরকারি সকল বিধিনিষেধ মেনে চলে। এছাড়া জনস্বার্থে নিজ নিজ জায়গা থেকে এ বিষয়ক যৌক্তিক খবর প্রচার করে সচেতনতা বৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করে”।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম ৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খবরে দেশব্যাপী আলোচনা সৃষ্টি হয়। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পক্ষে বিপক্ষে মত দিতে শুরু করে। সেশনজটের আশংকায় অনেকে বন্ধের বিপক্ষে থাকলেও করোনা প্রতিরোধে এখনই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পক্ষে কথা বলে অনেকে। তবে প্রশাসন থেকে অনানুষ্ঠানিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত স্থানে সকল প্রকার গণ জমায়েত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গত ১০ই মার্চ থেকে।
এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় বুধবার থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক কার্যক্রম। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা – কর্মচারীদের মধ্যে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সংক্রামক করোনা ভাইরাস যেহেতু হাঁচি-কাশি ও আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে তাই উপস্থিতি গণনায় ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তি বাতিলের দাবি এসেছে তাদের কাছ থেকে। এছাড়া আপৎকালীন সতর্কতার অংশ হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম বাড়িতে বসে ইন্টারনেটের সহযোগিতায় করা যায় কিনা এমনটা ভাববারও সময় এসেছে বলে জানান নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা – কর্মচারী।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply