বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:৫৬

ববি’র চিকিৎসা কেন্দ্রের বেহাল দশা : আট হাজার শিক্ষার্থীর ভোগান্তি

ববি’র চিকিৎসা কেন্দ্রের বেহাল দশা : আট হাজার শিক্ষার্থীর ভোগান্তি

dynamic-sidebar

সুমাইয়া আখতার তারিন,অতিথি প্রতিবেদক : প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেবার জন্য নেই উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা। আট হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে একটি অস্থায়ী কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটিতে রয়েছেন দুজন চিকিৎসক, একজন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং একজন আয়া।

 

দুজন চিকিৎসক থাকলেও একজন আছেন শিক্ষা ছুটিতে। মাঝেমধ্যে মেডিক্যালে এলেও যেটি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাব, পর্যাপ্ত লোকবল সংকট এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। যে কেন্দ্র শিক্ষার্থীদের অসুখ সারাবে, তারই যেন চিকিৎসা প্রয়োজন।

 

শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, এখানে জ্বর, সর্দি-কাশি, গ্যাস্ট্রিকসহ সাধারণ কিছু ওষুধ ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না। এসব সমস্যায় সর্বোচ্চ দুই দিনের ওষুধ দেওয়া হয় তাঁদের। ফলে বাইরে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে ওষুধ কিনতে হয়, যা অনেকের পক্ষে কষ্টসাধ্য।

 

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, যাত্রালগ্ন থেকে বেহাল এই চিকিৎসাকেন্দ্রটির। ২০১৫ সালে মাত্র দুজন চিকিৎসক দিয়ে যাত্রা শুরু। পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাবে এর সেবার মানোন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না বলে প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের নিচতলায় তিনটি কক্ষে অস্থায়ীভাবে চলছে এর কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে রয়েছে একটিমাত্র শয্যা, এ ছাড়া দুটি ওজন মাপার মেশিন থাকলেও বর্তমানে তা অকেজো। এক্স-রে মেশিন, রক্ত পরীক্ষা এবং ছোটখাটো পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। এ ছাড়া আট হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র একটি অ্যাম্বুল্যান্স, যা প্রয়োজনের সময় পাওয়া কষ্টসাধ্য।

 

একাধিক শিক্ষার্থী জানান, জ্বর, সর্দি, ব্যথার ওষুধ, স্যালাইন এবং ছোটখাটো আঘাতের চিকিৎসা ছাড়া আর কোনো সেবা মেলে না এখানে। এ ছাড়া দুপুরের পর চিকিৎসা নিতে গেলে প্রায়ই চিকিৎসকের দেখা মেলে না।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, ‘একমাত্র নারী চিকিৎসক শাম্মী আরা নিপা শিক্ষা ছুটিতে। ফলে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় এমন কিছু ক্রিটিক্যাল সমস্যা থাকে, যা পুরুষ ডাক্তারের সঙ্গে শেয়ার করা যায় না। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।’

 

এ বিষয়ে চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. তানজীন হোসেন বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থী সেবা নিতে আসেন। আমরা দুজন ডাক্তার। অন্যজন শিক্ষা ছুটিতে থাকায় সব সময় আসতে পারেন না। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জনবল সংকটের কারণে পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতিরও অভাব রয়েছে।’

 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘ইউজিসি থেকে পোস্ট আনার চেষ্টা চালাচ্ছি। শিগগিরই সব সমস্যা পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে। এ ছাড়া দ্রুত মেডিক্যাল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net