শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৫১

শিরোনাম :
সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ! বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল দুই উৎসবের ছুটি শেষে বরিশাল থেকে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ ঈদ আনন্দ থাকতেই বরিশালে বইছে পহেলা বৈশাখের আনন্দ সাংবাদিক মামুন অর রশিদের মায়ের মৃত্যুতে এস এম জাকির’র শোক
বরিশালে ঔষধের বাজারে নৈরাজ্য,ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই চলছে ঔষধ বিক্রি!

বরিশালে ঔষধের বাজারে নৈরাজ্য,ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই চলছে ঔষধ বিক্রি!

dynamic-sidebar

আরিফ হোসেন  : বরিশাল শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঔষধের ফার্মেসী গুলোতে চিকিৎসকের ব্যাবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে ঘুম ও ব্যাথা নাশক ঔষধ। যা এলাকার যুব সমাজ ব্যাবহার করছে নেশা হিসেবে। এলাকার যুবসমাজ নেশায় আসক্ত হয়ে ধ্বংশের পথে প্রায়। ওষুধ প্রশাসন কতৃপক্ষের নেই কোন নজর! স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রসাশনের সু-দৃষ্টি এবং এই ধ্বংশের কবল থেকে যুবসমাজকে বাঁচানোর আহ্বান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কিছু সচেতন নাগরীকের।তারা বলেন, আমাদের সস্তানদের যেই বয়সে হাতে কলম, মুখে মাদকের বিরুদ্ধে শ্লোগান আর বুকে সুন্দর দেশ গড়ার প্রত্যয়। ঠিক সেই সময় এই অর্থলোভী,

অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীরা আমাদের সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছে এ ঔষধ নামক মাদক।বরিশাল শহরের পলাশপুর, কেডিসি,স্টিডিয়াম কলোনী,ভাটারখাল, রসুলপুর, কাউনিয়া,কাগাশুরা বাজার,মিরগঞ্জ বাজার,লঞ্চঘাট,বাস র্টারমিনাল ও বরিশাল শহরের আবাসিক হোটেল এলাকায়,বাসষ্ট্যান্ডে কিছু ওষুধের দোকানদার অবাদে চালিয়ে যাচ্ছে এ ঔষধ নামক মাদক ব্যবসা।জানাযায়, অপারেশন ও বিভিন্ন গুরুতর রোগীদের জন্য ব্যাবহৃত ব্যাথা নাশক এবং ঘুমের ঔষধ যেমন, প্যথেডিন, নালবন-২, সেডিল, ইফিউম, ইনজেকশন ও ডরমিকাম, ইনোকটিন, সেডিল ট্যাবলেট এবং অফকফ, তুসকা, ফেনাডিল সিরাপ সহ বিভিন্ন ঔষধ যা ডাক্তারী ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি নিষেধ।

কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই অর্থের লোভে হরদমে বিক্রি করছে এ ঔষধ ব্যবসায়ীরা এবং এলাকার যুবসমাজ তা কিনে নেশা হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছে অবাদে।যার বাস্তব নিদর্শন রয়েছে, পলাশপুর ৫ নং ওয়ার্ডের ৭ নং গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন কালবার্ড ব্রিজের পাশে একটি আটোরিক্সার গেজের পিছনে। যেখানে বসে মাদক সেবীরা এসব মাদক গ্রহন করেন দিন রাত।তারা আরো জানাযায়, এই ফার্মেসী ব্যাবসায়ীদের কবলে পরে মাদকাসক্ত হয়ে নিজের ভারসম্য হারিয়ে ফেলেন ঐ এলাকার যুবকরা। শুধু তাই নয় বস্তি এলাকা গুলোাতে রয়েছে হায়-হায় কোম্পানীর বড় বড় হারবালের দোকান। নেই তাদের কোন ধরনের লাইসেন্স। নেই কোন অভিযান। তাই বর্তমানে তাদের ব্যাবসা চলছে জমজমাট।

শুধু তাই এখানে সরকারী নিষিদ্ধি ওষুধও বিক্রি হচ্ছে পাল্লাদিয়ে। পলাশপুর এলকার যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই দেখবে ভূয়া ডাক্তারের বড় বড় সাইনবোর্ড।স্থানীয় পুলিশ প্রসাশন ও সচেতন জনপ্রতিনিধিদের চোখে বুড়ো আগুল দিয়ে নিরবে চালিয়ে যাচ্ছে এ ঔষধ নামক মাদক ব্যবসা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, এই ঔষধ ফার্মেসীর আড়ালেই চলছে এ ঔষধ নামক মাদকের রমরমা ব্যাবসা। প্রতিদিন সাধারন মানুষের মতই এলাকার যুবসমাজ বিভিন্ন ভাবে ভিড় জমাতে থাকে এ ঔষধ ফার্মেসীগুলোতে এবং লোকচক্ষুর আড়ালেই ব্যবস্থাপত্র ছাড়া চলতে থাকে ঔষধ নামক মাদক কেনা বেচা। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ বেচা-কেনা। কি আর বলবো বাবা? অগো কারনে আমার পোলাডাও নেশাগ্রস্থ হইয়া গেছে, কিছু বললে আমাগো উপরে হাত তোলে।এভাবে অসুপূর্ণ চোকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক মাদক সেবীর বাবা আমার প্রতিবেদকে জানান, বাবারে বর্তমানে পুলিশের ধারে কিছু কইনা কারণ,

তাইলে আমরা গরীব মানুষ আমাগো উপরে চাপ পরবে। হেনস্তা হইতে হবে তাদের কাছে, আর সমাজে তো যারা এই মাদকের লগে জড়িতো তাগো গায়ের জোড় বেশি। তাই পত্রিকার মাধ্যমে পুলিশের বড় কর্মকর্তাদের কাছে জানাই এই অসাধু অর্থলোভী ফার্মেসী ব্যবসায়ীদের হাত থেকে এলাকার যুবসমাজকে যেন রক্ষা করে।

আর কোন মা বাবার সন্তান যেন নেশাগ্রস্ত না হয়।এ ব্যপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, এদের ঔষধ বিক্রির সঠিক কাগজ পত্র আছে কিনা, তাও আমার জানা নাই। আর যে যেই ঔষধ চায় তাই দিয়ে দেয়। তবে ব্যাথা নাশক ও ঘুমের ঔষধ ব্যাবস্থাপত্র(প্রেসক্রিপশন) ছাড়া বিক্রি করা নিষেধ থাকলেও তারা বিক্রি করতেছে। তবে আপনাদের মাধ্যমে পুলিশ প্রসাশন ও ড্রাগ এসোসিয়েশন এর দৃষ্টি আকর্ষন করে এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

যারা এই ঔষধ নামক মাদক বিক্রি করে এলাকার সম্মান ক্ষুন্য করতেছে এবং এলাকার যুব সমাজ ধ্বংশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net