অনলাইন ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি কীর্তন খোলা-২ এর ধাক্কায় এমভি নাদিয়া নামের বালুভর্তি একটি বাল্কহেড ডুবে ৩ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নোঙ্গর করে রাখা বাল্কহেডের সঙ্গে লঞ্চের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ বাল্কহেডের শ্রমিকরা হলেন- মুন্না মোল্লা, আসলাম মিয়া ও এমাদুল হক।
গজারিয়া কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিন্যান্ট কমান্ডার আবদুস সামাদ জানান, নিখোঁজ শ্রমিকদের খুঁজতে ও ডুবে যাওয়া বাল্কহেড উদ্ধারে মেঘনা নদীতে ডুবুরি দল কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বিত অভিযান চলাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় কোস্টগার্ড মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে বালুবাহী ৮টি বাল্কহেড আটক করে কোস্টগার্ডের জেটির পাশে নদীতে নোঙ্গর করে রাখে।
প্রত্যক্ষদর্শী বেঁচে যাওয়া শ্রমিক মিজানুর রহমান ও ডুবে যাওয়া বাল্কহেড নাদিয়ার মালিক রুহুল আমিন মিয়া জানিয়েছেন, রবিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে চারটায় বরিশাল থেকে ঢাকাগামী কীর্তন খোলা-২ লঞ্চটি নোঙ্গর করা বালুভর্তি বাল্কহেড এমভি নাজিয়াকে ধাক্কা দিলে সেটি নদীতে ডুবে যায় এবং অপর বাল্কহেড এমভি আল আসওয়া সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডে থাকা চার শ্রমিকের মধ্যে মিজানুর রহমান বের হতে পারলেও ৩ শ্রমিক নদীতে নিখোঁজ হন।
গজারিয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক জানান, এমভি কীর্তন খোলা-২ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, লঞ্চের মাস্টার (চালক) শহিদুল ইসলাম কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছেন। কোস্টগার্ডের নারায়ণগঞ্জের পাগলা স্টেশনের পেটি অফিসার লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, লঞ্চের চালক তাদের হেফাজতে রয়েছে।
লঞ্চের চালক শহিদুল দাবি করে জানিয়েছন, ঘন কুয়াশায় বাল্কহেডগুলো দেখা যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ ওই ৩ শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply