নিউজ ডেস্ক :ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে জোয়ার ও প্রবল বৃষ্টিপাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও পটুয়াখালীসহ বিস্তীর্ণ এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক কাচা-পাকা ঘরবাড়ি ধসে গেছে এবং উপড়ে গেছে কয়েক হাজার গাছপালা।
রোববার সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা বৃষ্টি হয়।
খুলনায় সেখানে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। ঝড়ের দাপটে নিম্নাঞ্চলে অনেক কাচা-পাকা ঘরবাড়ি ধসে গেছে। কয়েক হাজার গাছপালা উপড়ে রাস্তা-ঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। অনেক রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে অনেক মাছের ঘের ও পুকুর। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে।
খুলনার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিরুল আজাদ জানিয়েছেন, খুলনায় এখনও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে। ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে বাতাস। তবে সাগর উত্তাল থাকায় মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করে মাছ ধরা নৌকা ও জেলেদের উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের নদী-বন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আরও ২/৩ দিন বৃষ্টিপাত থাকতে পারে।
পটুয়াখালী থেকে সংবাদদাতা জানান, জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ইউনিয়নের অনেক বসত বাড়ি। রোববার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত টানা পাঁচ ঘণ্টা প্রবল বৃষ্টিতে এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এখনও দমকা ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীসহ উপজেলাগুলোতে এখনও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত ও বাতাস অব্যহত রয়েছে। এখানে বাতাস ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসফাকুর রহমান বলেন, চালিতাবুনিয়ার বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সাতক্ষীরা থেকে সংবাদদাতা জানান, বুলবুলের প্রভাবে সাতক্ষীরায় অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। তলিয়ে গেছে শত শত বিঘা ফসলি জমি ও মৎস্য ঘের।
শ্যামনগরের গাবুরায় ৫ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুসুদুল আলম। উপকুলীয় এলাকার বিভিন্ন বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ইতিমধ্যে ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, নৌবাহিনী ও ১০০ জন সেনা সদস্য উপকুলীয় এলাকায় জানমাল রক্ষায় কাজ করছেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply