অনলাইন ডেস্ক : অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাত ৮টা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসায় মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে গত দুদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। বিভিন্ন জোনে প্রধান নির্বাহী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দিয়েছি। তাদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যেসব এলাকায় নদী ভাঙনের সম্ভাবনা আছে, সেসব এলাকার উপজেলা ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। যাতে তাৎক্ষণিক কোনো নদী ভাঙনের সংবাদ আসলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারি, সে ব্যবস্থাটা নেয়া হয়েছে।’
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডেও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। কোথাও সমস্যা হলে কর্মকর্তাদের কন্ট্রোল রুমে ম্যাসেজ দিতে বলা হয়েছে।’
‘মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর আমরা বুঝব অবস্থা কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। পরে এটা নিয়ে পর্যালোচনা করে যা যা নির্দেশনা দেয়ার দেয়া হবে’ বলেন জাহিদ ফারুক।
উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটু আগে খবর পেলাম, এটা (ঘূর্ণিঝড় বুলবুল) দুর্বল হয়ে ভারতের দিকে যাচ্ছে। যদি যায়, সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।’
উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সর্বশক্তি নিয়োগ করে ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকায় আছে এবং থাকবে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর পুনর্বাসনসহ সব ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রস্তুত থাকব।’
এ সময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply