অনলাইন ডেস্ক ॥ বরিশাল নগরীর লঞ্চঘাট সংলগ্ন স্টিমার ঘাট মসজিদের পাশের একটি ফার্মেসীর ব্যবসা করতেন শিরিন নামের এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারী। বরিশালে বিভিন্ন কাজে বেশ আলোচিত ছিলেন সেই ঔষধ ব্যবসায়ী শিরিন।
একটি ফার্মসী চালিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বহ করতেন এই নারী। একটি ছেলে রয়েছে তার। গত রোববার রাতে নিজ দোকানে বসেই তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
তিনি মৃত্যুর দুই ঘন্টা আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে দুটি লাইভ করে। লাইভে তিনি তার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের নাম কান্না জরিত কণ্ঠে বলে গেছেন। মৃত্যুর ঠিক কিছুক্ষণ পরেই ফেইজবুক থেকে মুছে যায় তার আইডিটি। অনেকের ধারনা লাইভে যাদের নাম বলে গেছেন তারাই হয়তো এমন কাজটি করিয়েছেন।
এদিকে আজ সোমবার (২৮ অক্টােবর) শিরিন খানমের ভাই ইউসুফ মৃধা বাদী হয়ে ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এটিএম শহিদুল্লাহ কবিরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামীরা হলেন মশিউর রহমান মারুফ, শেলি, জনি, কায়েস, রনি, আলো, এটিএম শহিদুল্লাহ কবির।
এঘটনা বরিশালে প্রকাশ পেলে আরো অনেক ঘটনার সূত্র বেরিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। অপর একটি সূত্র নিশ্চিত করে বলেন, বরিশাল সিটি কর্পােরেশনের সফল মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নাম ব্যবহার করে বরিশাল বহুমুখী সিটি মার্কেটে স্টল নিয়ে বানিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে কাউন্সিলর এটিএম শহিদুল্লাহ কবিরের
বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) আসাদুজ্জামান খবর বরিশালকে জানান, মৃত্যুর বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত না। আমরা অভিযোগ পেয়েছি মামলা দায়ের হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারে আমাদের শাড়াসী অভিযান চলছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply