ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে টাকা না দেয়ায় বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তার দুই নারীর সরকারি বরাদ্ধকৃত ঘরের বরাদ্দ বাতিল করে অন্যকে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার সদর উপজেলাধীন বাসন্ডা ইউনিয়নের সদস্য ফিরোজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের চৌপালা গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা মনোয়ারা বেগম অপরদিক বাসন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান মোবারক মল্লিকের সহযোগী কবিরের একই গ্রামের কুলসুম বেগম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয় ইউপি সদস্য ফিরোজের বিরুদ্ধে স্বামী পরিত্যক্তা মনোয়ারা বেগম তার অভিযোগে জানান, তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে এক ছেলে পঙ্গু। অন্য মানুষের বাসায় ঝিয়ের কাজ করে কোনমতে তিনি সংসার চালান। পঙ্গু ছেলে নিয়ে তারা ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছেন।পরে ঘরের জন্য তিনি আবেদন করায় প্রাথমিক তালিকায় তার নাম আসে। প্রাথমিক তালিকায় নাম থাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ তার কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। ইউপি সদস্য ফিরোজের দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় সে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে চৌপালা গ্রামের কালুর স্ত্রী রেনুকে বরাদ্ধ দেয় বলে জানান।
অপর দিকে একই গ্রামের বিধবা কুলসুম বেগম তার অভিযোগে জানান, তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি বহুদিন যাবৎ একটি ছাপরা ঘরে বসবাস করে আসছেন। পরে তিনিও একটি ঘরের জন্য আবেদন করায় প্রাথমিক ভাবে তালিকায় তার নাম আসে। ঘরের বিষয় বাসন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোবারক মল্লিকের সহযোগী কবির আমার কাছে জানায়, ঘর পেতে হলে ৪০ হাজার টাকা লাগবে। টাকা দিলে ঘর পাবে বললে আমি টাকা না দিতে পারায় কবির একই গ্রামের রুস্তুমের ছেলে ইউসুফের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার উৎকোচ নিয়ে তাকে ঘরটি বরাদ্ধ দেয়।
এ বিষয় বাসন্ডা ইউপি সদস্য ফিরোজ বলেন ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা আমারা নামে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে। ঘর দেওয়ার ব্যপারে আমাদের কোন হাত নেই। চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন মল্লিক ঘর বরাদ্ধ দিয়েছেন। এই ইউনিয়নে আমরা ইউপি সদস্যরা কিছুই চেয়ারম্যানকে ছাড়া করতে পারিন। উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাগিনা তৌহিদ লস্কর ইউসুফকে ঘর দেওয়ার জন্য শুপারিশ করেছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, গরীব অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের জন্য আসা ঘর রাজনৈতিক প্রভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নামে ঘর বরাদ্ধ করা হয় বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ পাওয়া যায়।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply