শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:৫০

শিরোনাম :
সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ! বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল দুই উৎসবের ছুটি শেষে বরিশাল থেকে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ ঈদ আনন্দ থাকতেই বরিশালে বইছে পহেলা বৈশাখের আনন্দ সাংবাদিক মামুন অর রশিদের মায়ের মৃত্যুতে এস এম জাকির’র শোক

পিরোজপুরে কিশোরের মাথা ন্যারা করলো মেম্বর!

dynamic-sidebar

পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলায় সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের বাররা গ্রামে সুপারী টােকানাের অভিযােগে শিশুর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে সংরক্ষিত মহিলা আসেনের ওয়ার্ড মেম্বরের বােনের ছেলে অপু ও তার চাচি।এ ঘটনায় বাররা গ্রাম উত্তেজনা দেখা দিলে সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন পরিষদে শালিশ বৈঠকের নামে উল্টা মাথা ন্যাড়া করা শাহাদৎ (১১)কে এলাকা থেকে বের করে দেয়ার জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখেন শহিদ মেম্বর।

শাহাদাতের রিকশা চালক খালু জানান, বাবা মা ছারা শাহাদৎ ছাট বেলা থেকেই বাররা গ্রামের ব্যাপারী বাড়ি নানির কাছে বড় হয়।গত মঙ্গলবার একই বাড়ির সমবয়সী সিয়ামকে নিয়ে পার্শবর্তী সুপারী বাগানে সুপারি কুড়াতে গেলে আনায়ারা কে দেখে তারা দুজনেই দৌড়ে পালিয় যেতে চায়।এসময় আনায়ারা শাহাদৎকে ডেকে বলে ওখানে দুটা সুপারি আছে আমাকে তুলে দিতে অনুরােধ করেন।শাহাদত সুপারি তুলে দিতে গেলে আনায়ারা শাহাদাতের ঘাড় ধরে মাঠির সাথে চেপে ধরে এবং সুপারি গাছের সাথে রশি দিয়ে হাত পা বেধে রাখে। শাহাদাত কে মারধর করে এ সময পাশের বাড়ির অন্য মহিলারা নিষেধ করলেও থামেনি আনায়ারা।এক পর্যায়ে শাহাদতের মাথায় পানি দিয়ে বাররা বাজারে কম্পিউটার ও ফ্লক্সি লােডের দােকানদার অপু এসে শাহাদতের মাথার বিভিন্ন অংশের চুল কেটে দেয় ও মােবাইলে ভিডিও করতে থাকে মাথায় কালি মেখে দেয়। পরবর্তিতে অপুর মােবাইলে ন্যাড়া করা ভিডিওটি ভাইরাল হলে এলাকার লোকজন অপু ও আনায়ারার বিচারের দাবিতে সেচ্ছার হয়। জনরােশের মুখে মহিলা মেম্বর হােসনেয়ারা বােনের ছেলে ও চাচি আনায়ারাকে বাচাতে তরিঘড়ি করে সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠকের ব্যবস্তা করেন। সেখানে বিচারের নামে উল্টাে শাহাদাতকে চাের সাব্যস্ত করে সাদা কাগজে শাহাদতের খালুর স্বাক্ষর রাখন এবং খালু আনায়ার ও শাহাদতের নানীকে হুমকি দিয়ে বলে শাহাদত যেন এলাকায় না থাকতে পারে। ওকে এলাকায় দেখা গেলে সকল চুরির দায় ওর উপর দিবো বলে শালিশদারগন হুমকি দেয় বলে জানান রিক্সাচালক আনায়ার।

এ ব্যাপারে শাহাদতের নানী বলেন, আমি এ রায় মানিনা। আমার নাতীকে ন্যাড়া বানিয়ে উল্টাে ওকেই এলাকা ছাড়া করতে হুমকি দিছে মেম্বর শহিদ ও হােসনেয়ারা। বিষয়টি নিয়ে থানায় যাওয়ার ব্যাপার তিনি বলেন আমি গরীব মানুষ থানায় যেতে যে খেয়া ভাড়া লাগে তাও আমার কাছ নাই। আমি কিভাব থানায় যাবাে আর থানা কি আমাদের কথা শুনবে।

বিষয়টি নিয়ে শালিশ বৈঠকে রায় দেয়া সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডর মেম্বর শহিদুল ইসলাম বলন, অনক লােক এখানে এসেছিলো। আমি হােসনেয়ারা মেম্বর সহ উভয়ের কথা শুনে এ রায় দিয়ছি। প্রশাষনকে ঘটনা না জানানাের ব্যাপার প্রশ্ন করলে তিনি নিরুত্তর থাকেন।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত অপুর মােবাইলে কল দিলে তার মা রিসিভ করেন। এসময় তিনি ঘটনার সাথে অপুর সংশ্লিস্টতার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি আপনার সাথে দেখা করতেছি।

দৈনিক সমিতির আদায়কারি থেকে মেম্বর বনে যাওয়া হােসনেয়ারা আইনের প্রতি বদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষকে চর থাপ্পর এলাকা ছারা সহ বিভিন্য ধরেনর হুমকি দিয়ে আসছে দিনের পর দিন। বােনের ছেলে অপুকে দিয়ে।বাররা গ্রামে তৈরী করেছেন কিশাের গ্যাং বলে অভিযােগ করেন এলাকাবাসি।

তারা বলেন, বাররা গ্রামের সিমান্তবর্তী দুলালের ছেলে হামিম সহ একাধিকজন রয়েছে এ গ্রুপে। ট্রলারে কাজ করার সুবাধে হামিম বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে মেম্বরের সেল্টারে অপুর মাধ্যমে কিশােরদের মাঝে ছরিয়ে দেয় বলে অভিযােগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।

এদিকে মেম্বরের পক্ষ নিয়ে মেম্বর হােসনেয়ারার আত্মীয় পরিচয়ে লিটু নামে এক ব্যক্তি মােবাইলে কল দিয়ে রিপাের্টটি না করে সাংবাদিককে ম্যানেজের প্রস্তাব দেন।

বাররা বাজারের একাধিক ব্যক্তি বলেন সুটিয়াকাঠি ৭,৮ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের এ সদস্যা হােসনেয়ারার কারনে এলাকার কিশাের গ্রুপ বেপরােয়া।বিগত কয়েকমাস পূর্বে ইভটিজিং এর ঘটনায় একটি শালিশ বেঠক বসে মেয়ের দুলাভাইকে আইনভঙ্গ করে চর থাপ্পর মারেন হােসনয়ারা। তখন বিভিন্য পত্রিকায় রিপার্ট হলেও হােসনেয়ারা থেকে যায় ধরা ছােয়ার বাইরে। স্বরুপকাঠি থানায় দায়েরকৃত সেই মামলায় সকল আসামীরাই হােসনেয়ারার প্রশ্রয়ে বাররা গ্রাম নেশাদ্রব্য জুয়া ইভটিজিং সহ বিভিন্য অপকর্ম করে বেড়াছে বলেও তারা অভিযােগ করেন।

আর হােসনেয়ারার এসব কাজের প্রধান সহযাগী হিসাবে থাকেন কম্পিউটার ও ফ্লক্সিলােডের দােকানদার অপু ও তার কিশাের গ্যাংরা।

অভিযােগের বিষয়ে হোসনেয়ারা বলেন ,আমি কিছুই জানিনা আমি বাড়ীতে ছিলাম না আর আমি শালিসিতে নীরব ভূমিকায় ছিলাম। তবে তিনি বলেন, শাহাদাৎ একটা চোর ও সকলের বাগানের বাতামিসহ সুপারি চুরি করে বেড়ায় এবং এলাকার ছেলেদের এই কাজে উৎসাহীকরে তোলেন।

এদিকে স্বরুপকাঠি থানা অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান কে বিষয়টি জানানো হলে তিনি সাথে সাথে এলাকায় পুলিশ ফোর্স পাঠিয় দেন এবং বলেন দ্রুতই সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে ।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net