শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:১৯

স্বাচ্ছন্দ্যে দালালরা কাজ চালাচ্ছেন বরগুনা পাসপোর্ট অফিসে

স্বাচ্ছন্দ্যে দালালরা কাজ চালাচ্ছেন বরগুনা পাসপোর্ট অফিসে

dynamic-sidebar

বরগুনা প্রতিনিধি ॥ দালাল চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে বরগুনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। চক্রটিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন পাসপোর্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী। এতে করে গ্রামগঞ্জ থেকে আসা মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরগুনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সিসিটিভি (ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা) ক্যামেরা বসানো থাকলেও সেগুলো রয়েছে অচল। যেকারণে স্বাচ্ছন্দ্যে দালালরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দালাল চক্র আর অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। অতিরিক্ত টাকা না দিলে ফাইল ঘুরতে থাকে দিনের পর দিন। তাছাড়া নিজে আবেদন ফরম পূরণ করলে পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নানা অজুহাতে আবেদনপত্র ফেরত দেন। তবে, দালালদের মাধ্যমে আবেদন করলে সহজেই মেলে পাসপোর্ট।

পাসপোর্ট করতে আসা হৃদয়, হাসান ও রাফিন বলেন, পাসপোর্ট অফিসে ঢুকতেই ৪/৫ জন দালাল আমাদের ঘিরে ধরেছিল। দালালের শরণাপন্ন না হয়ে আমরা নিজেরাই আবেদন লিখেছি। এবার জমা দেওয়ার পালা।

জানা যায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ পাসপোর্টের জন্য তিন হাজার ৫৫০ টাকা এবং জরুরি পাসপোর্টের জন্য সাত হাজার টাকা জমা দিতে হয়। আবেদন করার পর ২১ দিন আর জরুরি ক্ষেত্রে ১১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট সরবরাহ করার নিয়ম রয়েছে। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত সময়ে মেলে না পাসপোর্ট।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বরগুনা জেলা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, অফিসের অনিয়ম দুর্নীতি আর দালাল চক্রের প্রতিরোধে সবসময় তারা সচেষ্ট রয়েছেন।

‘পাসপোর্ট বই দেরিতে কেনো দেওয়া হয়’ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা থেকেই বইয়ের সাপ্লাই নেই এজন্য গ্রাহকদের কাছে বই পৌঁছে দিতে দেরি হয়।

তিনি আরও বলেন, অফিসের সবকটি সিসিটিভি ক্যামেরা অচল রয়েছে। সেগুলোকে সচল করার জন্য ডিসি অফিসের খোকনকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু তিনি আজ না কাল বলে ঘোরাচ্ছেন।

বরিশালে নলকূপের গ্যাসে চলছে রান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বারেকগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে গভীর নলকূপ বসাতে গিয়ে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই গ্যাস দিয়ে চলছে ঘরের রান্নার কাজ। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

নলকূপ বসানো শ্রমিকদের প্রধান আব্দুর রহমান বলেন, গভীর নলকূপ বসানোর জন্য গর্ত করা শুরুর পর থেকেই গ্যাস চাপ অনুভব করি আমরা। তবে দুই শ ফুট নীচে গেলে এ চাপ বাড়তে থাকে। তবে ওই সময় গ্যাসের বিষয়টি আমাদের মাথায় আসেনি। আমাদের ধারণা ছিল মাটির জন্য হয়তো এমনটি হচ্ছে। পরবর্তীতে ৮ শ ফুট যাওয়ার পর আমরা গ্যাসের বিষয়টি নিশ্চিত হই। এমনকি আগুন জ্বালিয়ে তা পরীক্ষা করি। এরপর নলকূপ বাদ দিয়ে সেখানে চলছে রান্নার কাজ।

৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরন আলিম জমাদ্দার বলেন, গত এক সপ্তাহ পূর্ব থেকেই খালেক মোল্লার বাড়িতে গভীর নলকূপ বসানোর কাজ শুরু হয়। ২ শ ফুট নীচে যাওয়ার সময় গ্যাসের চাপ অনুভব করে নলকূপের মিস্ত্রিরা। এরপর ৮ শ ফুট গভীরে যাওয়া পর গ্যাস ওঠা শুরু হয়। সোমবার থেকে গ্যাসের চাপ বাড়তে থাকে। এরপর ওই বাড়ির মহিলারা ইট দিয়ে চুলা বানিয়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে রান্নার কাজ শুরু করেন। গ্যাসের চাপ ভালো থাকায় রান্নার কাজ সহজেই হচ্ছে বলে জানতে পেরে সরেজমিয়ে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ইউএনওকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।

কাউন্সিলর আরো জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে ইউএনও মাধবী রায় ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইউএনও পরিদর্শনের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net