বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনার পাথরঘাটায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাসের পর মাস স্কুলছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন একই এলাকার আরেক কলেজ পড়য়া রাজু আহমেদ। এক পর্যায়ে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে দু’জনের সম্পর্কে ভাঙন সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত ধর্ষক রাজু আহমেদ চলে যায় নিজ ক্যাম্পাস বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজে।
কয়েক মাস পার হয়ে যাওয়ার পর ওই স্কুলছাত্রীর শারীরিক পরিবর্তন হলে পরিবারের চাপে একপর্যায়ে তার অন্তঃসত্ত্বার খবর বড় বোনের কাছে স্বীকার করেন। ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী রোববার রাত আটটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন।
রাজু আহমেদ বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজে অনার্স শ্রেণিতে ভর্তির চেষ্টা করছে। উপজেলার কাঠালতলী ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল জলিলের ছেলে।
এর আগে পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীনকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিয়ে পাথরঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পাথরঘাটা থানা পুলিশ অভিযুক্ত রাজুর বাবা আব্দুল জলিলকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করলেও রাজুকে আটক করতে পারেনি।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর সন্তান প্রসবের খবর পেয়ে পাথরঘাটা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অ্যাডিশনাল এসপি বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের ও পাথরঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন নবজাতকের জন্য নতুন পোশাক নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে মা ও সন্তানের খোঁজ খবর নেন।
এছাড়াও বরগুনার এসপি মারুফ হোসেন নগদ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহয়তা প্রদান করেন। এ সময়ে তারা শিশুটির নাম ‘জয়’ রাখেন।
ওই ছাত্রী জানান, স্কুলে আসা যাওয়ার পথে রাজু তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে রাজু। তার এই সন্তানের বাবা রাজু আহমেদ।
এ বিষয়ে কাঠালতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের সমঝোতা বৈঠকে ছেলের বাবা আব্দুল জলিল দেড় লাখ টাকা মেয়েকে দেয়ার প্রস্তাব দিলে মেয়ের পক্ষ তা মানতে রাজি হয়নি।
অ্যাডিশনাল এসপি সুপার বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের জানান, নিষ্পাপ শিশুটি যাতে তার পিতৃত্ব পরিচয় পায় সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পাথরঘাটা পুলিশ তদন্ত করে যাচ্ছে। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply