নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় আহত ৩০ জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুর ১টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে ভর্তি হন।
আহতরা হলেন- বোরহানউদ্দিনের মিজানুর রহমান (৩০), শাহান (১৭), নান্টু (৪০), মাকসুদুর রহমান (১৮), তানভীর (৩০), ওয়ালিউল্লাহ (২৪), সিদ্দিক (২৮), আবু তাহের (৩০), শামীম (১৮), সোহরাব (৩০), আল আমিন (১৮), জামাল (২৫), আবুল কালাম (৩৮), কবির (৩৫), আলাউদ্দিন (৪২), সোহেল (২৬), হান্নান (৪৫), মো. রিয়াজ (২৯), ইমাম হাসান (২৬), নুরুল ইসলাম (৩৫), রকিব (১২), মনির (১৭), রাকিব (১৫), হাসিব (১৪), তাজুল ইসলাম (৫৫), মুন্না (১৩), সবুজ (৩৫), জাহিদুল (২৫), সিদ্দিকুর রহমান (২৩) ও সুজন (৩৫)।
এরা সবাই গুলি ও গুলির পিন বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবুল হাসানাত রাসেল।
আহতদের মধ্যে মুদি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, বোরহানউদ্দিন জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। যেখানে স্থানীয় লোকজন অংশগ্রহণ করেন। কোনো একটি বিষয় নিয়ে সমাবেশে আগতদের সঙ্গে পুলিশের বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি ছুড়তে শুরু করে। সেখান দিয়ে দোকানে যাওয়ার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
তার সঙ্গে থাকা স্বজন রোরহানউদ্দিনের বাসিন্দা রিয়াজ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আপত্তিকর পোস্টের জের ধরে এ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে সমাবেশ শেষ হয়ে যায়। পরে আবার স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতালে আহতদের ভর্তির খবর জানতে পেরে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সদস্যরা সেখানে যান। তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ভর্তিদের তথ্য নেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply