নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল জেলা পরিষদ উপ নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ড (বাবুগঞ্জ) আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী রিফাত জাহান তাপসীর বিরুদ্ধে কাজ করায় উপজেলা সভাপতি কাজী এমদাদুল হক দুলাল ও সাধারন সম্পাদক এস এম খালেদ হোসেন স্বপন’র মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিফাত জাহান তাপসী দলীয় কমান্ড মেনে এবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন থেকে সরে যান। যার ফলে জেলা পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য ফারজানা বিনতে ওহাব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। জেলা পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড শূন্য ঘোষণা হলে তফসিল অনুযায়ী গতকাল উক্ত ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী রিফাত জাহান তাপসীর বিরোধীতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সভাপতি কাজী এমদাদুল হক দুলাল, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আজাদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব। এনিয়ে গতকাল নির্বাচনী কেন্দ্রে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সভাপতি কাজী এমদাদুল হক দুলাল এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের মধ্যে বাকতিন্ডার সৃষ্টি হয়। গৌরনদী পৌর মেয়র হারিচুর রহমানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম খালেদ হোসেন স্বপনকে সাথে করে নিয়ে যান হারিচুর রহমান। একই সাথে স্থান ত্যাগ করেন স্বপনের সমর্থকরা। এসুযোগে এলাকায় বিক্ষোভ দুলাল সমর্থকরা।
এখবর পেয়ে আ’লীগের ত্যাগী নেতারা ও স্বপন সমর্থকরা আ’লীগ বিরোধীতাকারীদের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে দক্ষিন বাংলার আওয়ামী রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র আশ্বাস্যে পেয়ে স্থান ত্যাগ করেন স্বপন সমর্থকরা। এসুযোগে রহমতপুর ঈগল কাউন্টার ভাংচুর এবং কাউন্টারে উপস্থিত থাকা মিলন, সাইদুল, রাজু ও অলিউলকে মারধর করে দুলাল সমর্থকরা।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply