স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা থেকে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পটুয়াখালীর ব্যবসায়ীরা। এ কারণে এই রুটে পণ্যবাহী জাহাজ চালানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি পৌর মেয়েরকে দেয়া এক চিঠিতে ব্যবসায়ীরা লিখেছেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে লঞ্চ যোগে পটুয়াখালীতে বিভিন্ন ধরনের মালামাল আনেন তারা। এ জন্য লঞ্চে তাদের নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়। কোনো কোনো সময় লঞ্চ ধর্মঘটে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকে। সেই সঙ্গে লঞ্চ স্বল্পতা বা লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় থাকায় পণ্য পরিবহন অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। এসব কারণে পণ্য পরিবহন ব্যয় অনেক বেশি হয়ে থাকে।
পাশাপাশি বগা, গলাচিপা ও কলাপাড়ায় ঢাকা থেকে বা পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় সরাসরি জাহাজ বা ট্রলারে মালামাল আনা-নেয়া করা হয়। ফলে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
চিঠিতে ব্যবসায়ীরা আরও উল্লেখ করেন, দুই ঈদের আগে যখন ঢাকা থেকে বেশির ভাগ পণ্য আনার প্রয়োজন হয়, তখন লঞ্চগুলো মালামাল পরিবহন করে না। এতে তারা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এছাড়া মুগডাল, চাল, বাদাম, তিল, মরিচ ইত্যাদি পরিবহনে লঞ্চগুলো বেশি ভাড়া নেয়ায় জেলায় উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় রফতানি করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যে কারণে কৃষকসহ তারা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ কারণে আগের মতো ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে সরাসরি ট্রলার চলাচলসহ নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে মালামাল আমদানি-রফতানির ব্যবস্থা করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
শহরের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, লঞ্চে পণ্য পরিবহন করার ফলে অনেক সময় যাত্রীরা ঝুঁকিতে থাকেন।
এ বিষয়ে ঢাকা-পটুয়াখালী রুটের একাধিক যাত্রী জানান, লঞ্চযাত্রা ভালো লাগে। তবে লঞ্চে মালামাল পরিবহন কেমন জানি দেখায়। অন্য রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চে তেমন পণ্য পরিবহন করে না। তাই সরকারের কাছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি যৌক্তিক। তাদের দাবি মেনে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।
পটুয়াখালীর পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, এমন একটি আবেদন পেয়েছি। পৌর পরিষদ, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply