নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে আতঙ্কের আরেক নাম “গলাকাটা” ও “ছেলেধরা”। আর এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণঞ্চলের জনপদে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের শিশু ও অভিভাবকরা। ‘ছেলে ধরা’ আতঙ্কে গ্রামের শিশুরা বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে।
অনেক গৃহকর্তারা শিশুদের বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।অপরিচিত লোক দেখলেই মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এতে বিপাকে পড়েছে ভিক্ষুকরা। অপরিচিত কেউ ভিক্ষা চাইতে গেলে গৃহস্থরা ভিক্ষা না দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
বরিশালের বিভিন্ন উপজেলার কোথাও না কোথাও শিশু ধরে নিয়ে গলা কাটছে এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মাঝে। প্রতিদিনই গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ‘ছেলে ধরা’র খবর আসছে। তবে ঘটনা অনুসন্ধান করতে গেলে তার সুনির্দিষ্ট কোনো সত্যতা মিলছে না।
উপজেলার রায়পাশা,টুংগিবাড়িয়া, রাজার চর,বুখাই নগর, তালুকদার হাট,কালিজিরা,তালতলী,দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ গত দু’সপ্তাহ ধরে ‘ছেলে ধরা’ আতঙ্কে ভুগছেন।
সদর উপজেলার চরকেউটিয়া গ্রামের হুমায়ন বেপারী বলেন, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সুযোগ বুঝে শিশুদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে এমন কথা শুনে আমার স্ত্রী বাচ্চাদের সাথে বিদ্যালয় আসা যাওয়া করছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গুরুত্বসহকারে এই গুজবের লাগাম টেনে না ধরলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
বরিশাল মডেল থানার ওসি নরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার থানা এলাকায় ছেলেধরার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ব্যাপারে আমার থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি হয়নি। শুধু গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করার জন্য বরিশাল মেট্রো পলিটন পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রচার করা হবে যে এ সবই গুজব। ’
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply